জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা প্রথম দিন ৫ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ১৪০৯ অনুপস্থিতি ৫২

 

 

 

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়ি।

পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের রামু উপজেলায় সারা দেশের ন্যায় অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন জেএসসিতে বাংলা প্রথম জেডিসিতে কুরআন মজিদ ও তজবাদ বিষয়ে ছোটদের এ বড় পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১নভেম্বর বুধবার প্রথম দিনেই ৫কেন্দ্রে ৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত বলে জানা গেছে। এসব কেন্দ্রে জেডিসি ও জেএসসিতে সর্বমোট ১৪০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩৫৭ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ আহম্মদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নাইক্ষ্যংছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাকঢালা এএইচ এসডিপি মড়েল উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে মোট ৩২৬ জনের মধ্যে ৩১৪ জন পরীক্ষার্থী  অংশগ্রহণ করেন অনুপস্থিত ১২ জন। রামুর ঈদগড় ও নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী  উচ্চ বিদ্যালয় এ দুইটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সেখানে মোট ৪০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেন ৩৮৬ জন অনুপস্থিত ১৬। এদের মধ্যে ১৪৪ জন ছাত্র ও ২৪২ জন ছাত্রী বলে জানালেন হল সচিবের দায়িত্বে থাকা বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রীবাস চন্দ্র দাস।

উপজেলার মদিনাতুল উলুম আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ঘুমধুম মিশকাতুন্নবী দখিল মাদ্রাসা, চাকঢালা মহিউচুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, বাইশারী শাহনুরুদ্দিন দাখিল মাদ্রাসাসহ ৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৯০ জন পরীক্ষার্থী এর মধ্যে ১৭৮ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন অনুপস্থিত ১২জন । এদিকে রামু উপজেলার দূর্গম গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যায়ল মিলে গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। এতে মোট পরীক্ষার্থী ২৪৭ জন উপস্থিত ২৪২ জন অনুপস্থিত ৫ জন। হল সুপারের দায়িত্বে থাকা কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবছার উদ্দিন জানান, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, মনোরম ও নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা চলছে। অপরদিকে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মৌলভীর কাটা  আল-গীফারী দাখিল মাদ্রাসা, গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসাসহ তিনটি প্রতিষ্ঠান এতে ২৪৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন অনুপস্থিত রয়েছে ৭জন। নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদ কবির ও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে পালন করে যাচ্ছেন পুলিশ। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা হলে সাথে সাথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান সাংবাদিকদের। 

এছাড়াও ৫ কেন্দ্রে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে ৪ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। গর্জনিয়া ফইজুুল উলুম ফাজিল মাদ্রসার কেন্দ্র সচিব রামু  উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার (মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস) মোঃ তৈয়ব উল্লাহ বলেন, সুন্দর পরিবেশে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কোন রকম বিশৃংখলা ও অনিয়ম হলে সাথে সাথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধ বার গর্জনিয়া- কচ্ছপিয়ার দুইটি কেন্দ্র সকালে পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলার ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল। নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ আহম্মদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাহ নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল। সাংবাদিকদের বলেন নাইক্ষ্যংছড়িতে অন্যন্ত সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে প্রথম দিনের পরীক্ষা অতিবাহিত হয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ডাক্তার এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বলায় ছিল।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.