জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ

ওয়ান নিউজঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় অর্থের উৎস বিষয়ক অভিযোগের একটি অংশের পুনঃ তদন্ত চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন সরাসরি খারিজ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর গতকাল বুধবার শুনানি শেষে আদালত আজ আদেশের জন্য বিষয়টি রেখেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় এই আদেশ দেওয়া হলো।

আদেশের পর দুদকের কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট পুনঃ তদন্ত চেয়ে করা আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। এতে মামলার কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘এই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করব।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টসংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার একটি অংশ পুনরায় তদন্ত চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন গত ২ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে নামঞ্জুর হয়। বিচারিক আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১ মার্চ হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আবেদনে মামলার একটি অংশ পুনরায় তদন্তের আবেদন খারিজের আদেশ কেন বাতিল হবে না এবং মামলার সংশ্লিষ্ট অংশ পুনরায় তদন্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বিচারিক মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

গতকাল খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, অর্থ সৌদি আরব থেকে এসেছে। বিবাদীপক্ষ বলছে, অর্থ কুয়েতের আমির দিয়েছেন। মামলার এই অংশ পুনরায় তদন্ত চাওয়া হয়েছে। এই মামলায় বিচারিক আদালতে ৯ মার্চ সাক্ষী জেরার তারিখ ধার্য রয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আদালত বদল হচ্ছে। ঢাকা-৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত থেকে মামলাটি এখন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ আদালতে (মহানগর দায়রা জজ) যাচ্ছে। একই সঙ্গে আদেশ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে মামলার বিচারকাজ শেষ করতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.