জালিয়াতির মামলায় আইনজীবীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
স্ট্যাম্প জালিয়াতির মামলায় এক আইনজীবীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে কক্সবাজার আদালত।

রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এই পরোয়ানা জারি করেন।

আসামিরা হলেন- কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ টেকপাড়া পল্লবী লেন এলাকার বাসিন্দা মৃত জামাল উল্লাহর ছেলে অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, তার ভাই মাসুমুল ইসলাম রাসেল ও সাহেল।

তারা তিনজনই কক্সবাজার সদর কোর্টের সি.আর মামলা নং -৮৩/২০ এর আসামি।

দক্ষিণ টেকপাড়া ডি-ওয়ার্ড স্কুল এলাকার বাসিন্দা মুজিবুর রহমানের ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম মামলাটি করেন।

স্ট্যাম্প জালিয়াতির অভিযোগে দায়েরকৃত এই মামলা তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই রাজিব কুমার সূত্রধর।

বাদীর পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট তাওহীদুল আনোয়ার।

তিনি জানান, নাসির উদ্দিন মুহাম্মদ মহসিন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন কলাতলীর হোটেল পিংকশোর ভাড়া নেওয়ার কথা বলে এডভোকেট রফিকুল ইসলাম কোন টাকা না দিয়েই জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভাড়াটিয়া চুক্তি করেন।

হোটেল ভাড়া নেওয়ার জন্য হোটেল মালিককে মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৩৫ লক্ষ টাকা দেন এবং হোটেল পরিচালনা করেন।

আইনজীবী আরো জানান, আশরাফুল ইসলাম অংশীদার হিসেবে হোটেল মালিককে টাকা প্রদান করে মালিকের সাথে পার্টনারসহ নতুন চুক্তি করে ব্যবসা করার কথা থাকলেও তা না করে জোরপূর্বক স্ট্যাম্প নিয়ে ‘অঙ্গীকারনামা’ সৃজনের মাধ্যমে আশরাফুল ইসলামকে হোটেল থেকে বের করে দেয় এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, তার ছোট দুই ভাই রাশেল ও শাহেল।

আশরাফুল ইসলামের আইনজীবি ছিলেন রফিকুল ইসলাম। হোটেল ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে মালিকের সাথে রফিকুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলামের বিরোধ হয়। এই বিরোধ মীমাংসার কথা বলে আশরাফুল ইসলাম থেকে জোরপূর্বক দুইটি খালি স্ট্যাম্প নেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামসহ বাকি আসামিরা। এই অভিযোগে সদর আদালতে মামলা করেন মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম।

অ্যাডভোকেট তাওহীদুল আনোয়ার জানান, মামলায় আনিত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিবি পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। মামলার শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.