জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর নামাজে জানাজা শেষে এমপি লিটনের লাশ গ্রামের বাড়িতে

ওয়ান নিউজ: গাইবান্ধা-১ আসনের (সুন্দরগঞ্জ) সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের লাশ তার গ্রামের বাড়ি বামনডাঙ্গার সাহাবাজে পৌঁছেছে। সোমবার (২ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১টার দিকে এমপি লিটনের লাশ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনের পূর্ব পাশের একটি ফাঁকা জমিতে অবতরণ করে। এমপি লিটনের পরিবারের সদস্যরা সেখানে তার লাশ গ্রহণ করেন এবং অ্যাম্বুলেন্স করে লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।

এর আগে, সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সাংসদের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রীর পরে সাংসদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, মাহবুব উল আলম হানিফ ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাংসদকে কারা, কেন হত্যা করেছে, এ বিষয়ে এখনো অন্ধকারে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই জেলা আওয়ামী লীগ এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করছে। পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে ১৮ জনকে আটক করেছে। তাঁরাও জামায়াত-শিবিরের স্থানীয় নেতা-কর্মী বা সমর্থক বলে জানা গেছে।

সুন্দরগঞ্জের শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি ছিলেন সাংসদ মনজুরুল। তিনি জামিনে ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে সাংসদবিরোধী একটি পক্ষ সক্রিয় হয়েছিল।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন লিটন। পরে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. বিমল কুমার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এমপি হত্যার প্রতিবাদে গতকাল রোববারও বামনডাঙ্গার শাহবাগ এলাকায় সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথ অবরোধ করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে সুন্দরগঞ্জে গতকাল হরতাল পালন হয়। বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নাদিম হোসেন জানিয়েছেন, এমপি হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জে হরতাল পালন করা হবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.