জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল
ওয়ান নিউজঃ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নেমেছে। বিজয় দিবসের শুরুতেই কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাস উপেক্ষা করে একাত্তরে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসে লাখো জনতা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর হাতে ফুল নিয়ে স্মৃতিসৌধে শহীদদের জন্য তৈরি বেদিতে শ্রদ্ধা জানান তারা।
বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিকূল আবহাওয়ার পরেও গভীর রাত থেকেই মহাসড়কের পাশে ভিড় করতে থাকেন শিশু-ছেলে-বুড়োসহ সব বয়সী মানুষ। এসেছিলেন যুদ্ধাহত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও। অপেক্ষমাণদের হাতে দেখা যায় লাল-সবুজের পতাকা আর রঙবেরঙের ফুল।
ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের কর্মসূচি। ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানানোর পর ওই এলাকা জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়।
প্রধান ফটক খুলে দেয়ার পর বাধ ভাঙা জনতার ঢল নামে স্মৃতিসৌধে। সবার হাতে ফুল আর লাল-সবুজ পতাকা। কারো হাতে আছে বিভিন্ন স্লোগান লেখা ব্যানার-ফেস্টুন। দেশের সূর্য সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিবেদনে ফুলে ফুলে ঢেকে যায় স্মৃতিসৌধ শহীদদের জন্য নির্মত বেদী। বিজয়ের উচ্ছ্বাসে উদ্ভাসিত সূর্যের মতো আলোকিত করে লাখো মানুষ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
স্থানীয় একটি স্কুলের ছাত্রী আসমা বাবার সঙ্গে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে এসেছেন। বিজয় দিবসের অনুভূতি জানতে চাইলে আসমা বলেন, দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পর যাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি তাদের স্মরণ করতেই স্মৃতিসৌধে এসেছি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আসমার বাবা বলেন, একাত্তরে বিজয় ছিনিয়ে আনতে যারা বাধা দিয়েছিল, অবিলম্বে বাকি রাজাকারদের যেন ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
তাদের মতো লাখো জনতা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করতে ভিড় করেছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সবার চোখে ছিল একটি সুন্দর বাংলাদেশের গড়ার স্বপ্ন। তাদের আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে স্মৃতিসৌধকে ঘিরে গোটা সাভার পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.