ইয়ানুর রহমান : ভারতে ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে নেওয়া ছেলের মৃত্যুতে শোকে বিহল হয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় মারা গেলেন ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে পিতা রফিক।
সেমাবার সন্ধ্যার সময় ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। ছেলের লাশ বাংলাদেশে তার আত্বীয় স্বজনের কাছে হস্থান্তর করেছে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ। অপরদিকে অইনি প্রক্রিয়ার কারনে বাবার লাশ বনগাঁ থানা কোলকাতায় নিয়ে গেছে।
রফিক ছিলেন বাংলাদেশের গাজিপুর জেলার বাসিন্দা। তার ছেলে আসাদ ছিল ৬ষ্ট (১৪) শ্রেণীর ছাত্র। বেনাপোল চেকপোষ্টে লাশ নিতে আসা রফিকের চাচা খন্দকার আলী জানান, ছেলে আসাদকে বাচাতে রফিক তার সহায় সম্পত্তি সব বিক্রি করে দিয়েছে। ছেলের অবস্থার কোন উন্নতি না দেখে তাকে ভারত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু ভারতের ডাক্তার আসাদের ক্যান্সারের কোন উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা না দেখে দেশে চলে যেতে বলেন। বাড়ি আসার সময় ছেলে পথে মারা যায়। পরে কোলকাতা ফিরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে দেশে ফেরার সময় বেনাপোল চেকপোষ্টের অপর পাশে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে পিতা রফিক মারা যায়।
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ভারতের পেট্রাপোল থানার পুলিশ বাবার মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য পাঠিয়েছে কোলকাতায়। আর ছেলের মরদেহ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশে তার স্বজনদের কাছে ফেরত দেন।
বেনাপোল সীমান্তে পিতা পুত্রের মরাদেহ একনজর দেখার জন্য সকালে ভিড় জমায় শত শত নারী পুরুষ। এমন করুন মৃত্যু কেউ কখনো দেখে নাই বলে মন্তব্য করতে থাকেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.