চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদহ রুটে মাদক পাচারে নতুন কৌশলে এবার নারী
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে শুক্রবার পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এক মটরসাইকেল চালক দুই আরোহী নিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
এ সময় ফেনসিডিলের বোতল চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। পুলিশ ফেনসিডিল কুড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত সাথী খাতুন ও তার শিশু সন্তান বিপাশাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিলম্ব ঘটে। পরে তাদের সাধুহাটী ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যাক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বংকিরা পুলিশ ফাড়ির তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তফা জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে একটি মটরসাইকেল ধাওয়া করে। বহনকারীরা মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় তারা বেপরোয়া গতিতে পালাতে থাকে। এক পর্যায়ে ঝিনাইদহ চুয়াডাঙ্গা সড়কের সাধুহাটী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে মটরসাইকেলটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
দুর্ঘটনায় সাথি খাতুন ও তার শিশু কন্যা বিপাশা আহত হয়। আটক করা হয় মটরসাইকেল চালক ও মাদক ব্যবসায়ী শিপলুকে। সাধুহাটী ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার গ্রহনের সময় আহত বিপাশা জানান, তিনি দুই হাজার টাকার চুক্তিতে শিলুর সাথে বহনকারী হিসেবে আসেন।
শিপলু সম্পর্কে তার কিছুই হয় না। তিনি নিজেকে সাথী খাতুন ও তার শিশুকে বিপাশা এবং চালককে শিপলু বলে দাবী করেন। তাদের বাড়ি দর্শনার আকুন্দবাড়িয়ায় বলেও কথিত সাথী খাতুন দাবী করেন।
তবে রাত নয়টা পর্যন্ত ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। বংকিরা পুলিশ ফাড়ির তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তফা জামান খবরের সত্যতা স্বীকার করে এ বিষয়ে থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি বলেন এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তবে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) শাহিন জানান, তিনি বাইরে আছেন। থানায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানাবেন। এদিকে প্রতাক্ষদর্শী সাদুহাটী এলাকার অনেক কৃষক জানান, দুর্ঘটনায় প্রায় ২/৩’শ বোতল ফেনসিডিল রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.