ওয়ান নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত সফর ফলপ্রসূ হয়েছে, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এই সফরে ৩৫টি দলিল সই হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক চুক্তি। চুক্তি নিয়ে কোনো লুকোচুরি নেই। চুক্তিগুলো সবই বিস্তারিত জানানো হবে। এখন যারা প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছে, তারাই চীনের সাথে গোপনে চুক্তি করেছিল।
চারদিনের ভারত সফর শেষে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান। চারদিনের সফর শেষে সোমবার শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন।
তিস্তা চক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিজেপি সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি হবে। এখন ধৈয্য ধরতে হবে। তিনি বলেন, শুধু পানি চাইলেই হবে না আমাদেরকে তিস্তার পানি ধরে রাখতে হবে। এসময় তিনি হাসিমুখে বলেন, খালি হাতে তো আসেনি। পানি চেয়েছিলাম, পেয়েছি বিদ্যুৎ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তার পানি নিয়ে এখন অনেকেই কথা বলেন; কিন্তু ভারত যখন গজলডোবায় বাঁধ দিল তখন যারা ক্ষমতায় ছিল, তখন তো কেউ কথা বলেনি।
তিস্তার পানি প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য কি না—এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। তাকে বলেছি, অন্য নদীর পানিগুলো তারা নিজেরা নিয়ে তিস্তার পানি আমাদের দিন। এটা নিয়ে আলোচনা চলবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক সুদৃঢ়। বিবাদে কোন অর্জন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ভারত সফরে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের নতুন গতির সঞ্জার হয়েছে। কোন দেশের সাথে দ্বি-পাক্ষিক সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমঝোতা স্মারক নিয়ে এতো প্রশ্ন কেন, বেঁচে থাকতে দেশবিরোধী কোন কিছু হবে, এটা মনে রাখবেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.