চট্রগ্রামের পটিয়ায় কলেজ বাজারে ভূমি প্রতিমন্ত্রী জাবেদের সংবর্ধনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ : আহত-১২

বিশেষ প্রতিবেদকঃ চট্রগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার কলেজ বাজারে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় হয়েছে বলে জানা যায়। তথ্যসুত্রে জানা যায়, এতে ১২জন মতো দুপক্ষের কর্মীরা আহত হন।যাদের মধ্যে মোবারক (২৫), মোঃ নাজিম (২৬), রাজু (২১), কপিল (৩০), আবিদ (২০), নওশের (২৫), বাবুল (২৫), পারভেজ (২৩), লালু (৪০), আরমান (১৮) সহ অনেকে। ঘটনার পর পরেই কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গির নামে এক যুবলীগ নেতা। মহান স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন ও কর্ণফুলী থানাকে সাম্প্রতিকতম সময়ে উপজেলাকে ৪৯০তম উপজেলা ঘোষণা করায় এ সম্বর্ধিত সভা আয়োজন করেন কর্নফুলী আওয়ামীলীগ সহ অন্যান্য অঙ্গ সংঘঠন। ২৬শে মার্চ রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নাগরিক সংবর্ধনা শুরুর আগে কলেজ বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রাপ্ত খবরে জানা যায়,শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম বকুলের আধিপত্য নিয়ে মূলত এই ঘটনা ঘটে। এসময় সংঘর্ষ চলাকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কর্ণফুলী উপজেলার (সাবেক পটিয়া উপজেলা) শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম বকুলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বদ্ধ চলে আসছিল। গত ৫ম ধাপে ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে আবুল কালাম বকুল পরাজিত হয়। পরে অনেকদিন নীরব থাকলেও বর্তমানে চরম আকারে পৌছেছে দুই গ্রুপের রেষারেষি। কর্ণফুলী উপজেলা নাগরিক কমিটির সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ মারামারি প্রস্তুতি নেয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরুর আগে বিকেল ৫টায় জাহাঙ্গীর ও বকুলের অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এক পক্ষ আরেকপক্ষের উপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক মারামারি হয়। অপর দিকে, সংবর্ধনা শেষে জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীরা লাঠিসোটা ও দাঁড়ালো কিরিচ নিয়ে মহাসড়কে শোডাউন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবুল কালাম বকুল দাবি করেন, প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, জাহাঙ্গীর ও বকুলের চেয়ারম্যানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে মূলত এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ কিংবা মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.