চকরিয়ায় স্বাধীন মঞ্চ,ফিস ফাইন্ডার সহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের দাবী শহীদ মিনারকে ৩৬৫দিনই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
মোঃ নাজমুল সাঈদ সোহেল
স্বাধীন মানচিত্রে বাংলাদেশ, বাংলা ও বাঙ্গালীর চিন্তা চেতনা ও ঐতিয্যের ধারক বাহক,পবিত্র শহীদমিনার আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের প্রতীক,আমাদের অহংকার, ও গৌরবের প্রতীক,এই পবিত্র শহীদ মিনার আমাদের ভালবাসার তীর্থ স্হান,শহীদ মিনার আমাদেরকে সকল ধরনের অত্যচার, নির্যাতন,শোষন বঞ্চনার বিরোদ্ধে যুদ্ধ করার প্রেরনা যোগায়,প্রতিবাদ করতে শিখায়,শত শত শহীদের রক্তে গাঁথা সেই শহীদ মিনার সারা বছর পড়ে থাকে অযত্ন অবজ্ঞা আর অবহেলায়!
শুধুমাত্র ১৬ ডিসেম্বর, ২১ ফ্রেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ আসলেই শুধুমাত্র শহীদ মিনারের কথা পড়ে আমাদের!বাদ বাকী৩৬২দিন শহীদ মিনার নামে একটি স্তম্ব আছে সেটা আমরা ভুলে যায়!দিবস গুলি শেষ হওয়ার সাথে সাথে একদল মানুষ নামের হায়েনা শত শহীদের রক্তভেজা আমাদের প্রানের শহীদ মিনারকে অপবিত্র করে রাখে,এমন কি সন্ধার পর পর একদল নর পশু গাজার আসর মদের আসর জুয়ার আসর বসিয়ে শহীদ মিনারকে অপবিত্র করে রাখে,শুধুরাতে নয় দিনের আলোত অনেক ভদ্র সমাজ এই শহীদ মিনারে জুতা পায়ে বসে আড্ডা বা পান সিগারেট খেতে দেখা যায়,আর এই সব চলে প্রশাসনের নাকের ডগায়! ওরাদেখেও নাদেখার ভান করে থাকে,সারা বাংলাদেশ এর মত আমার প্রানের চকরিয়ার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এবং সারা বছর অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকে একদল নষ্ট মানুষ পবিত্র মিনারকে করে রাখে অ পবিত্র!এই শহিদ মিনারের পাশে পৌরসভা কার্যলয়,মহিলা কলেজ,সুনামধন্য কোরক বিদ্যাপিট,আর্মি ক্যাম্প কিন্তুু দুঃখের বিষয় হল এই সব প্রতিষ্টানের কর্থারা কখনও শহিদ মিনারের দিকে তাঁকাবার সময় পান না!! আমরা যারা সমাজে ভদ্রজন বলে দাবি করি আমরাও শহীদ মিনারের উপর অত্যাচার দেখে হায়েনাদের বাধাঁ দিই না, প্রশাসন তো চোখ কান বন্ধ করে রাখে! কিন্তু কেন? শহীদ মিনারকে পবিত্র রাখা আমার আপনার বিশেষ করে প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে কি পড়ে না? আমরা যারা রাজনীতি করি নীতির কথা বলে গলাবাজি করি আমরা কখনও ভুলে শহীদ মিনারকে পবিত্র রাখার চেষ্টা করিনা।তবে আশার কথা এখনও এই দেশে এমন একদল নর নারী আছে যারা নিরব থাকতে পারেনা,তেমনি একদল মানুষ চকরিয়াই আছে যাদের পদচারনা সব স্হানে সব সময় সরব থাকে কখনও রক্তের ফেরিওয়ালা,কখনও বাল্য বিবাহের বিরোদ্ধে সোচ্চার কখনও অসহায় মানব মানবীর পাশে সাহায্যের হাত প্রসারিত করে,তেমনি একদল মানুষ চকরিয়ার পবিত্র মাটিতেও আছে যার নেতৃত্বে আছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বাধীন মঞ্চ,ফিস ফাইন্ডার সহ বিভিন্ন বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা শহীদ মিনারের ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করে মিনারকে পবিত্র করেছে,আর সেই সব স্বেচ্ছসেবী সংগঠনের মানব দরদী দেশপ্রেম স্বাধীন প্রিয় সকল সদস্যের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছে।
তাই আসুন আমাদের ভালবাসার স্হান আমাদের অহংকার পবিত্র শহীদ মিনারকে শুধুমাত্র ১৬ ডিসেম্বর, ২১ ফ্রেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ এ তিন কার্যদিবসে নয় ৩৬৫ দিনেই পবিত্র রাখি,হায়েনাদের কবল থেকে রক্ষা করে শহীদের রক্তকে শ্রদ্ধা ও যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করি।এতে দেশের জন্য যাদের আত্নত্যাগ এবং বীর শহীদদের বয়ে যাওয়া রক্তগঙ্গা আত্নার শান্তিময় সমৃদ্ধি হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.