চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে বাছুরসহ চোরাইকৃত ৯ মহিষ উদ্ধার

 

এম.মনছুর আলম,চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চিংড়িজোন এলাকা থেকে গভীররাতে বাছুরসহ ৯টি চোরাইকৃত মহিষ উদ্ধার করেছে পুলিশ।থানা পুলিশের একটি টীম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে থানার(ওসি)মো:বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে থানার অপারেশন অফিসার(এস আই)তানভীর আহমদ, এস আই এনামুল হক ও এস আই সুকান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনাস্থ একাধিক মামলার পালাতক আসামি  জাহাঙ্গীর আলমের ডেরা থেকে ওই মহিষ গুলো উদ্ধার করা হয়।এ সময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে জাহাঙ্গীরসহ তাঁর লোকজন পালিয়ে যায়।বর্তমানে উদ্ধারকৃত মহিষ গুলো থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

অভিযানে যাওয়া চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার এস আই তানভীর আহমদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই এনামুল হকসহ অভিযান চালিয়ে উপজেলার সওদাগরঘোনা এলাকা থেকে বাছুরসহ ৯টি চোরাইকৃত মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে।অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সকালের দিকে জানতে পেরেছি, উদ্ধারকৃত এসব মহিষের মালিক সওদাগরঘোনার জনৈক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, মহিষের মালিকানা সাপেক্ষে জাহাঙ্গীর আলম সঠিক প্রমাণ দিতে পারলে আদালতের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেয়া হবে।

চিংড়িঘের মালিকরা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর আলম চিংড়িজোনের একজন চিহিৃত ত্রাস। দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিদের নিয়ে চিংড়িজোন নিয়ন্ত্রন করে নানা ধরণের লুটপাট চালিয়ে আসছে। পাশাপাশি চিংড়িঘেরে বিচরণরত বিভিন্ন মালিকের গরু, মহিষ ও ছাগল লুটের মাধ্যমে অন্যত্র বিক্রি করে আসছে। লুটপাটের এসব ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অন্তত ৮-১০টি মামলা রয়েছে। কয়েকমাস আগে থানা পুলিশ তাকে চিংড়িজোন থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতারও করেছিলো।এলাকাবাসীর দাবী,সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে পুলিশের অভিযানে উদ্ধারকৃত মহিষ গুলোও চিংড়িঘের থেকে লুট করে আনা অথবা চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সনদ্বীপ বা অন্য এলাকা থেকে চুরি করে আনতে পারে বলে জানায়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসির অভিযোগ, জাহাঙ্গীর আলমকে তাৎক্ষনিক মালিক না বলে পুলিশ নিরপেক্ষভাবে সুষ্ট তদন্ত করলে ঘটনার আসল থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এতে প্রকৃত মালিক উদ্ধারকৃত মহিষ গুলো ফেরত পাবে।##

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.