চকরিয়ায় তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬জন নিহত, আহত-২০
এম মনছুর আলম, চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী শ্যামলী বাস, নোয়া ও মাইক্রোবাসের ত্রিমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরো একজন। এনিয়ে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার এ। এছাড়াও আহত হয়েছেন তিন গাড়ির অন্তত ২০ যাত্রী। তন্মধ্যে মুমূর্ষ অবস্থায় পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রেরণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আহত অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাংস্থ ইছাছড়ি ব্রিজের কাছে মহাসড়কের বাঁকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়। এছাড়াও মহাসড়কের চকরিয়ার মালুমঘাট ও খুটাখালী মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় আরো দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই মোটর সাইকেল আরোহী। এনিয়ে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬জন ব্যক্তি।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস দ্রæতগতিতে আসছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা পর পর দুটি নোয়া ও মাইক্রোবাস একে অপরকে ওভারটেক করতে গেলে ত্রি-মুখি ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এই অবস্থায় নোয়া গাড়িটি সড়ক থেকে ছিটকে পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে গিয়ে আটকা পড়ে। অপর মাইক্রোবাসটিও দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আর শ্যামলী বাসটির সম্মুখ অংশও দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নোয়া ও মাইক্রোবাসের তিন যাত্রী নিহত হন। এ সময় আহত হন তিন গাড়ির অন্তত ২০ যাত্রী। আহতদের স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও মারা যান একজন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে মুমূর্ষ অবস্থায় থাকা পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রেরণ করা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানা ও চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অকুস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার এবং দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি তিনটি উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন-কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব দরগাহ বিলের হাতি মুড়া এলাকার বাদশা মিয়ার পুত্র আলী আকবর (৩১), একই এলাকার মীর আহমদের পুত্র সাহাব উদ্দিন (১৯), উত্তর খুনিয়া পালং গ্রামের মৃত শামশুল আলমের পুত্র জয়নাল আবেদীন (২০) ও আবদুল গফুরের পুত্র মোহাম্মদ মামুন (১৮)। তন্মধ্যে নোয়া গাড়ির চালকও রয়েছেন।
আহতদের মধ্যে মুমূর্ষ অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা পাঁচজন হলেন একই এলাকার জামাল উদ্দিনের পুত্র সাহাব উদ্দিন (৩০), মো. উলা মিয়ার পুত্র নুরুল হোসেন (২২), আলী আহমদের পুত্র মো. নুরুল ইসলাম (১৮), মৃত তৌহিদুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ ছোটন (২৫) ও জাকের আহমদ (২৭)।
চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (এসও) জিএম মহিউদ্দিন জানান, যাত্রীবাহী একটি বাস কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে বাসটি হারবাংয়ের গয়ালমারা এলাকায় পৌঁছলে পেছন থেকে একটি নোহা মাইক্রোবাস ওভারটেক করতে গিয়ে চট্টগ্রামমুখী আরেকটি নোহা মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় শ্যামলী বাসটি খাদে পড়ে যায়। ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান। আরেকজন হাসপাতালে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের এসআই নাছির উদ্দিন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের আত্মীয়স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে।
এদিকে দ্বিতীয় সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে গতকাল সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার মালুমঘাট এলাকায়। এই দুর্ঘটনায় মোটর সাইকেল ও টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত মোটর সাইকেল আরোহী
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.