মোঃ নেজাম উদ্দিন ,
কক্সবাজারের চকরিয়াতে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় একদিনে ২টি করাতকল সীলগালা করেছে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ।
রবিবার(৩১সোমবার) চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী রেঞ্জ এর অধীনে নলবিলার কৈয়ারবিলএলাকা থেকে অবৈধ ২টি করাতকল সীলগালা করা হয়
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া উপজেলার নলবিলা ও কৈয়ারবিল এলাকাসহ বিভিন্ জায়গাতে এইসব অবৈধ করাতকল স্থাপন করে তারা গাছ নিধন করে আসছিল। সোমবার সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে কৈয়ারবিলা এলাকায় মাসুদুল হকের মালিকানাধিন ১টি ও হামিদুল হকে মালিকানাধিন ১টি মোট ২টি স’মিল সীলগালা করা হয়।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের স্পোশাল ওসি একেএম আতা এলাহী জানান, করাতকলের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে মালিকপক্ষ কোন বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় করাতকল সীলগালা করা হয়।এবং করাতকলে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাদের করাতকল সীলগালা করা হয়েছে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, গতকাল ২টি অবৈধ করাতকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও রামুতে ৭টি করাতকল উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কোনভাবে এই অবৈধ করাতকল থাকবে না । যারা অবৈধ করাতকল বসিয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিরোদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ২১২টি করাতকলে উজাড় হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বনাঞ্চলের আশপাশে অবৈধভাবে এসব করাতকল স্থাপন করা হলেও তা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২১২টি করাতকলের রয়েছে তার মধ্যে চকরিয়ায় ৩৯, পেকুয়ায় ১৮, সদর উপজেলায় ৩৩, টেকনাফে ২২, রামুতে ২৬, কুতুবদিয়ায় ১৩, মহেশখালীতে ২১ ও উখিয়ায় ৪০টি রয়েছে। এসব করাতকলের কোনোটির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। ১৭টি করাতকলের বন বিভাগের লাইসেন্স থাকলেও ইতিমধ্যে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।। বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের ভেতরে করাতকল স্থাপন না করার নিয়ম থাকলেও ৯০ শতাংশ করাতকল স্থাপন করা হয়েছে বনাঞ্চলের আশপাশে।
সাধারণ মানুষ মনে করঠে এভাবে যদি অবৈধ স’মলিগুলো বন্ধ করা হয় তবে সামাজিক বনায়ন ও বন রক্ষা পাবে।
সম্প্রতি কক্সবাজারের উখিয়া রেঞ্জ এর অধিনে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু স’মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.