গোয়ালন্দে তালের শাঁস বিক্রি করে চলছে আনো মোল্লার সংসার

মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী:
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া রেলষ্টেশনে উঠেছে কচি কচি তালের শাঁস। গরমে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ক্রেতাদে কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাল শাঁস।

গোয়ালন্দ বাজার, জামতালার হাট, কাটাখালী, দৌলতদিয়া ঘাটে, হামেদের হাটে ভ্যানে করে বা অনেকে ফুটপাতে গাছের ছায়ায় বসে দোকান দিয়ে বিক্রি করছে তালের শাঁস। শুধু জৈষ্ঠ্যে ও আষাঢ় মাসে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফলের সাথে তালের শাঁসের চাহিদা কম নয়। রসে ভরা কেমিক্যাল মুক্ত আর সুস্বাদু হওয়ায় দেশের সকল শ্রেনীর মানুষের মাঝে তাল শাঁস প্রিয় একটি ফল । ডাবের চেয়ে কম দাম হওয়ায় দিন মুজুর ও সধারন মানুষ ডাবের পরিবর্তে তৃষ্ণা মেটাতে তাল শাঁসকে বেছে নিচ্ছেন।

২৫ মে দৌলতদিয়া বাজারের রেলষ্টেশনের প্রধান সড়কে পাশে কথা হয় আনো মোল্লা নামের এক তাল ব্যবসায়ীর সাথে ।

তিনি বলেন, করোনা কালিন সময় বেকার হয়ে পড়েছিলাম সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়েছে। বর্তমানে তালের শাস বিক্রি করে আমি একটু ভাল আছি। প্রতিদিন পাইকারি দরে তাল শাস কিনে তাহা আবার খুচরা দরে বিক্রি করে ভাল আয় করতে পারছি। তাতে আমার সংসার ভাল চলছে। একদিন পর পর এক নছিমন করে তালের শাস দিয়ে যান বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারী তাল শাস বিক্রিতারা। তারা রাজবাড়ীর মাটি পাড়া বসন্তপুর কোলারহাটের উদয়পুরএলাকা থেকে প্রতিদিন এক নছিমন ভরে তালের শাঁস পাইকারি দরে আমার কাছে বিক্রি করে যায। তালের শাসের চাহিদা বেশি থাকায় দাম একটু বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

তাল শাস পাইকারি বিক্রিতা রশিদ বলেন, দৌলতদিয়া রেল ষ্টেশনের পাশে তাল শাঁস খুচরা বিক্রেতা আনো মোল্ল কাছে তালের শাস গুলো পাইকারি দরে বিক্রি করে থাকি। রৌদ্র তাপ বেশি হওয়ায় তৃষ্ণা মেটানো জন্য মানুষ তাল শাঁস বেশি বেশি খাচ্ছে । এতে তাদের শরীর ঠান্ডা থাকবে খেলে ঘুম ভালো হয় এবং তাতে রয়েছে প্রচুর পরিমান আয়রন। পাইকারি আটশত টাকা দরে বিক্রি করে দিচ্ছি। সে হাতে কেটে প্রতিপিচ ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রামনের ফলে বাজারে লোকজন কিছুটা কম। তাই গত বছরের চেয়ে এবার তালের শাসের একটু ব চাহিদা বেশি রয়েছে।

গোয়ালন্দ উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিতাইকুমার ঘোষ বলেন, তালের শাঁস ডাবের সাথে মিল রয়েছে , এর মধ্যে ক্যালসিয়াম ,খনিজ পদার্থ ,ভিটামিন সি রয়েছে এ ছাড়া তালের শাঁসের মধ্যে ফাইবার রয়েছে যা মানুয়ের কষ্ঠ্যো কাঠিন্য দুর করে এবং মানুষের পানি শুন্যতা দুর করে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.