গুজরাটে গো হত্যার সাজা যাবজ্জীবন

ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ গুজরাটে গো হত্যার সাজা যাবজ্জীবন করা হয়েছে। শুক্রবার গুজরাট বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। আসন্ন নভেম্বরে গুজরাটে বিধানসভা ভোট। তার আগে হিন্দুদের সমর্থন ঝুলিতে ভরতে নয়া আইন নিয়ে এল রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি।

তাতে বলা হয়েছে, কারও বিরুদ্ধে গো হত্যার অভিযোগ পরমাণিত হলে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হবে। জরিমানা হবে ১ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। গো হত্যা নিয়ে আগে থেকেই কড়া আইন ছিল গুজরাটে। ২০১১ সালের সংশোধনী আইনে গো হত্যার সাজা ৭ বছের জেল নির্ধারণ করা হয়। জরিমানা ছিল ৫০০০০ টাকা। ১৯৫৪ সালের পশু সংরক্ষণ আইনে গরু পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লে ১০ বছরের জেল হেফাজতের বিধান দেওয়া হয়। নয়া আইনে পাচারে ব্যবহৃত গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি যোগ্য এবং জামিন অযোগ্য ধারায় সাজা দেওয়া হবে।

‘‌গো মাতা’‌ এবং রাম মন্দির নির্মাণকে হাতিয়ার করেই বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশ মাত করেছে বিজেপি। ক্ষমতায় এসে রাজ্যের সমস্ত বেআইনি কসাইখানা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গো মাংস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর জনমনে এমন বার্তা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও চলছে। সুযোগ বুঝে সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই গো হত্যা আইনে সংশোধনের প্রস্তাব পেশ করে বিজেপি শাসিত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি।

গত ১৫ মার্চ ছোটা উদেপুরের একটি সভায় বলেন, ‘‌বিজেপি গরু, গঙ্গা এবং গীতাকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গো মাতার নিরাপত্তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে রীতিমতো লড়াই করে আইন বলবৎ করেছিলাম। এবার আইনটিকে আরও কড়া করতে চাই। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীনই প্রস্তাব রাখব।’‌

২০১১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যে গরু ও বাছুর হত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গরু পাচার, গোমাংস বিক্রির ওপরও নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছিলেন। তারপর থেকে রাজ্যের গো হত্যা ও গরু পাচার সংক্রান্ত যে কোনও ২০১১ সালের গুজরাট পশু সংরক্ষণ আইনের আওতায় পড়ে। সূত্র : আজকাল

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.