গর্জনিয়া ইউনিয়নে জনসাধারনে দুর্ভোগ,শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও যাতায়াত বিহীন গর্জনিয়া, সাংসদ এর সুদৃষ্টি কামনা।

নেজাম উদ্দিন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,কক্সবাজার:

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার ঘন পাহাড়ে ঘেরা গর্জনিয়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে প্রায় ত্রিশ হাজার লোকের বসবাস, এই ঘনবসতি ও প্রাচীন ইউনিয়নে এখনো আসেনি আলোর ছায়া তেমন পড়েনি কোন সরকারের উন্নয়নের প্রভাব। এলাকার জনসাধারন এখনো পায়ে হেটে যাতায়াত যন্ত্রবাহন বলতে মোটর বাইক চালু, বিদ্যুৎ পার্শ্ববর্তী দুই ইউনিয়ন কে আলোকিত করলেও এখনো এই ইউনিয়নে পড়েনি আলোর ছায়া বৈদ্যুতিক পাখা এমনকি এখনো অনেক লোক ছিনেনা কেমন হয়, শিক্ষার দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ে আছে, স্হানীয় কিছু সচেতন কিছু লোকের কারনে পুরো ইউনিয়নে গুটি কয়েক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্টান থাকলেও উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারী কোন শিক্ষা প্রতিষ্টান নেই একটি উচ্চবিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা তাও বেসরকারি ভাবে পরিচালিত, এইভাবে যাচ্ছে গর্জনিয়া বাসির জীবন যাপন, সরেজমিনে দেখা যায় মাঝির কাটা নামক গ্রামে কয়েকটি রাস্তা করা হলেও বাকি রাস্তা প্রাচীন কালের ন্যায় আছে, অন্যদিকে মরিচ্যাচর নামক একটি গ্রামের জনসাধারন আছে জনবিচ্চিন্নভাবে । এইগ্রামে নেই কোন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্টান, আছে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্টান হযরত শাহ বদর আউলিয়া রঃ হেফজ খানা ও এতিমখানা, ১নং ওয়ার্ড় ইউপি সদস্য জানান, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও উচ্চ শিক্ষা জন্য সরকারি ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্টান গড়ে তোলা হউক, যদি কোমলমতি শিশুরা শিক্ষায় শিক্ষিত হয় সমাজ উন্নত হবে, এইদিকে ২নং ওয়ার্ড় সদস্য এহসান উল্লাহ একই মত প্রকাশ করেন, সাধারন জনগন জানান এই ইউনিয়ন কক্সবাজার জেলার প্রাচীন একটি ইউনিয়ন এই ইউনিয়নে অনেক আগেই সরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ হওয়া দরকার ছিল, তা না থাকায় কোমলমতি শিশুরা শিক্ষা থেকে বন্চিত হচ্ছে, এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য তাদের দুরে কোথাও গিয়ে পড়ালেখা করতে হচ্চে যা সব মা বাবার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে ফলে প্রাথমিক শিক্ষা পেলেও উচ্চ শিক্ষার সুযোগ হারাচ্ছে, এই দিকে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমান রামু কক্সবাজারের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল ও উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম উন্নয়ন এর জন্য অত্যান্ত আন্তরিক বর্তমান সরকার আসার পর এলাকার অনেক উন্নায়ন হয়েছে ও হচ্ছে বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা মেরামত কালভার্ট নির্মান ব্রিজ নির্মান সহ উন্নয়ন মুলক কাজ চালু আছে শিক্ষা ও বিদ্যুৎ খাত এর জন্য সাংসদ কে জানানো হয়েছে তিনি শীগ্রই ব্যবস্হা নিবেন বলে আশা দিয়েছেন , এই দিকে জুমছড়ি বাসি রশিদ জানান যাতায়াত এর ব্যবস্হা যদি আরেকটু সুগম করা হয় তা হলে যারা ব্যবসায়ী তাদের জন্য লাভবান হবে এবং গরীবদের জন্য আরো বেশি সুবিধা হবে, কেমন সুবিধা তা তিনি খুলে বলতে গিয়ে জানান বর্তমানে এইখানে বাহন বলতে মোটরবাইক একমাত্র মাধ্যম যদি রাস্তা বা যোগাযোগ ব্যবস্হা যদি আরেকটু সুবিধা হয় তা হলে হয়ত জীপ অথবা বাস চালু করা যেতে পারে এতে যাতায়াত খরচ অনেকাংশে কম হবে বলে মনে করেন, অন্যদিকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান জানান র্বতমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী সরকার এই ইউনিয়নে উন্নয়ন করবেন এটা আমি বিশ্বাস করি কারন র্বতমানে অনেক উন্নয়ন মুলক কাজ চালু আছে আর বাকি যা প্রয়োজন র্বতমান সাংসদ তা পূরন করবেন আশা করছি, এইদিকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ফরিদ আহমদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সরকারের প্রতি আস্থার কথা বলেন, এদিকে সাধারন জনগন মনে করেন যদি বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্হা, ও শিক্ষা , এইতিনটি দিক উন্নয়ন করা না হয় তা হলে এমন অন্ধকারেই থেকে যাবে গর্জনিয়া,, এর আশু সমাধান চান এলাকাবাসী।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.