নিজস্ব প্রতিবেদক :
রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের জাউচপাড়া গ্রামের ফোররুক আহমদের ছেলে মো. রুবেলকে বলৎকারের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বলেন- সংশ্লিষ্ট আইনে তিনি রুবেলকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সোমবার রাতে তিন মাসের সাজা প্রদান করেন। মঙ্গলবার সকালে রুবেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়- মো. রুবেল একজন লম্পট শ্রেণির লোক। তার বিরুদ্ধে অহর অহর বলৎকারের অভিযোগ রয়েছে। গত শুক্রবার পূর্ববোমাংখিল গ্রামের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুকে রুবেল কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তার খালার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে বলৎকার করে। তার আগেই শিশুটিকে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে দেয়। শনিবার বাঁকখালী নদীর তীরে শিশুটিকে পেলে যান রুবেল। এসব বিষয় গর্জনিয়া ইউপি কার্যালয়ে নিজেই স্বীকার করেছে রুবেল। তার এসব স্বীকারোক্তির ভিডিও ক্লিপ রয়েছে।
ভিকটিমের পরিবার জানান- শনিবার শিশুটি বিষয়টি পরিবারকে জানালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন। এর পর থেকে বিষয়টি নিয়ে শালিস বৈঠকে বসেন গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিষয়টি দফারফার চেষ্টা চালান। পরে সোমবার উভয় পক্ষকে ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে যান চেয়ারম্যান। তখন ইউএনও ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত রুবেলকে তিন মাসের সাঁজা দেন।
তবে আইনজীবীরা বলছেন- বলৎকার দন্ডবিধি ৩৭৭ ধারার অপরাধ। এটির বিচার ভ্রাম্যমান আদালতে করা যায় না। এই বিচার সরাসরি আদালত করতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.