গর্জনিয়াতে মৌলভী হাসেমের ইয়াবা পাচার থেমে নেই

ঢাকায় আরেক ছেলে ভুট্টো ইয়াবাসহ আটক এর আগে ইয়াবা পাচারকালে বদ্যাইয়া আটক হয় ঢাকায়

# পাচার কাজে ব্যবহার করছে ছেলেদের
# পরিবারের দুই সদস্য ইয়াবাসহ আটক
# আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারি নেই
# ইয়াবার আগ্রাসনে স্থানীয় যুবকেরা
# এলাকায় খুচরা বিক্রী করছে ইয়াবা
বার্তা পরিবেশকঃ
গর্জনিয়াতে মৌলভী তকমা লাগিয়ে  ইয়াবা ব্যবসায় পুরো পরিবার। এরই মধ্যে ঢাকায় পাচারকালে পরিবারের দুই সদস্য ইয়াবাসহ আটক হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে।। তারা এখন জেলহাজতে আছে। পরিবারের প্রথমে একজন ইয়াবাসহ আটক হবার পরেও ইয়াবা কারবার বন্ধ করেনি মৌলভী হাসেম। আবারো ইয়াবার চালান নিয়ে পরিবারে আরেকজন আটক হয়েছে বলে জানা যায়। রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ির মৌলভী হাসেম এর ছেলে আজিজুল হক ভু্েট্টা (২৫)ও তার সহযোগী আলাউদ্দিন (৩৫) কে রাজধানীর হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ কথা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ ।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে হাতিরঝিল থানার পশ্চিম রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদককারবারিদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করতেন বলেও মন্তব্য করেছেন সাইফুর রহমান আজাদ।
সরকার মাদককে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করলেও তা তোয়াক্কা না করে গর্জনিয়ার জুমছড়ির মৌলানার তকমা লাগিয়ে ছেলেদের দিয়ে মৌলানা হাসেম ইয়াবা ব্যবসা করাচ্ছে বলে জানা গেছে। বড় ছেলে আবু হান্নান পল্লী চিকিৎসা ও ছোট ছেলে কক্সবাজারের একটি মোদির দোকানের সেলস্ ম্যানের আড়ালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা পাচার করছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
এদিকে একটি সুত্র জানিয়েছে মৌলবী হাসেম এর পুত্র আজিজুল হক ভুট্টো (২৫) ও তার পরিবার দীর্গদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত । গত কয়েকমাস আগেও মৌলভী হাসেম এর আরেক ছেলে আবদুল মোমেন প্রকাশ বদাইয়্যা ইয়াবা বহন করে ঢাকায় পাচারকালে ইয়াবাসহ আটক হলেও তাদের এই ইয়াবা পাচার বন্ধ করেনি। তখন আবদুল মোমেন প্রকাশ বদাইয়্যা যে গাড়ি ব্যবহার করেছিল তা নাইক্ষ্যংছড়ির কফিল নামের একব্যক্তির গাড়ি বলে জানা যায়। তারা আটক হলেও আরো দুই ছেলে আবু হান্নানও আবুল মনসুর এই ব্যবসার হাল ধরে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রতিবেশি জানান, তাদের তেমন জমিজমা নেই। কিন্তু চালচলনে মনে হয় অনেক টাকার মালিক প্রত্যেক ভাই নিজেদের ব্যবহারের জন্য মটর সাইকেল নিয়েছে। মৌলভীর ছোট ছেলে আবুল মনসুর কক্সবাজারের একটি মোদির দোকানে সামান্য চাকরি করে অথচ সে ব্যবহার করে ২লক্ষ টাকা দামের মটর সাইকেল যা সত্যি এলাকাবাসিকে হকবাক করেছিল্। তবে তার দুই ছেলে ইয়াবা নিয়ে আটক হওয়ার এলাকার মানুষ বুঝতে পেরেছে এই টাকার উৎস কোথায়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে এই মেীলভী হাসেম বিগত দিনে সাধারণ জীবনযাপন করলেও বর্তমানে তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে।। এমনও বলতে শুনেছে আগে টাকা ছিল না তাই তেমন কিছু বলতাম না,এখন টাকার কাছে সবকিছু হার মানে আমাদের টাকা আছে কাউকে পরোয়া করিনা। সম্প্রতি স্থানীয় একটি জমিতে তারা সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। তাদের বিভিন্ন অসমাজিক কাজে সেল্টার দিচ্ছে জুমছড়ির বিদেশ ফেরত এক ব্যক্তি। তার ঢাকায় বাড়ি আছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.