বার্তা পরিবেশকঃ
রামুর গর্জনিয়া জুমছড়ির দক্ষিণ পাড়ার মৌলভী হাসেমের দুই ছেলে ইয়াবা পাচারকালে ইয়াবাসহ আটক হয়ে জেল হাজত থেকে আসার পর আবারো ইয়াবা ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে । তারা হলেন একজন আবদুল মোমেন প্রকাশ বদাইয়্যা, আরেকজন আজিজুল হক প্রকাশ ভুট্টো। তার দুইজনই ইয়াবাসহ ঢাকায় আটক হয়েছিল। সম্প্রতি তারা দুইভাই জেল হাজত থেকে ফিরে আবারো ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে আজিজুল হক প্রকাশ ভুট্টো প্রথমে ছাড়া পেয়ে আগের মতো মটর সাইকেল এর চালকের আড়ালে তাদের ইয়াবার ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে দিয়েছে। এবং তাদের সহযোগিতা করছে আবদুল মোমেন প্রকাশ বদাইয়্যা যে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় গ্রেফতার সে গাড়ির মালিক বলে জানা গেছে। এদিকে চট্রগ্রামে কর্মরত জুমছড়ির এক সরকারি কর্মকর্তা তাদের সার্বিক সেল্টার দিচ্ছে বলে গোপণ সুত্রে জানা গেছে।
ঢাকায় পাচারকালে পরিবারের দুই সদস্য ইয়াবাসহ আটক হয়েছিল ভিন্ন ভিন্ন সময়ে।। তারা জেলহাজত থেকে জামিনে আসে কিছুদিন আগে।। পরিবারের প্রথমে একজন ইয়াবাসহ আটক হবার পরেও ইয়াবা কারবার বন্ধ করেনি মৌলভী হাসেমের পরিবার।গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আবারো ইয়াবার চালান নিয়ে পরিবারে আরেকজন আটক হয় সে হলো তার ছোট ছেলে আজিজুল হক ভু্েট্টা (২৫)ও তার সহযোগী আলাউদ্দিন (৩৫) কে রাজধানীর হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে হাতিরঝিল থানার পশ্চিম রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদককারবারিদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করতেন বলেও মন্তব্য করেছেন হাসেমের দুই ছেলে ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পর জেল থেকে ফিরে অপর আরো দুই ভাইদের নিয়ে ও তার সহযোগিদের দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। এক ছেলে আবু হান্নান স্থাণীয় পল্লী চিকিৎসা ও অপরজন মনছুর কক্সবাজারের একটি স্বনাধণ্য মুদির দোকানের সেলস্ ম্যানের আড়ালে তাদের এই ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ইয়াবরা চালান যাচ্ছে বলে সন্দেহ করছে সচেতন মহল। এলাকাবাসি জানান, এই মনসুর একটি মুদির দোকানে চাকরি করে এখন এলাকায় বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করছে যা অবাক করার মতো।
দিকে তাদের পিতা মৌলভী হাসেম বর্তমানে অসুস্থ থাকলেও তার নিয়ন্ত্রন আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এবং এলাকার একটি মসজিদের ইমাম হওয়াতে এলাকার লোকজন তেমন কিছু বলছেনা। আর এই মৌলভী পরিবার তকমা লাগিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করছে বলে জানা যায় পুরো পরিবার।
সরকার মাদককে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করলেও তা তোয়াক্কা না করে গর্জনিয়ার জুমছড়ির মৌলভীর তকমা লাগিয়ে নিজের ছেলেদের দিয়ে মৌলভী হাসেম ইয়াবা ব্যবসা করাচ্ছে বলে জানা গেছে। মেঝ ছেলে আবু হান্নান পল্লী চিকিৎসা ও আরেক ছেলে কক্সবাজারের একটি মুদির দোকানের সেলস্ ম্যানের আড়ালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা পাচার করছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
এদিকে একটি সুত্র জানিয়েছে মৌলভী হাসেম এর পুত্র আজিজুল হক ভুট্টো (২৫) ও তার পরিবার দীর্গদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত । তখন আবদুল মোমেন প্রকাশ বদাইয়্যা যে গাড়ি ব্যবহার করেছিল তা নাইক্ষ্যংছড়ির কফিল নামের একব্যক্তির গাড়ি বলে জানা যায়। তারা আটক হলেও আরো দুই ছেলে আবু হান্নানও আবুল মনসুর এই ব্যবসার হাল ধরে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রতিবেশি জানান, তাদের তেমন জমিজমা নেই। কিন্তু চালচলনে মনে হয় অনেক টাকার মালিক। প্রত্যেক ভাই নিজেদের ব্যবহারের জন্য মটর সাইকেল নিয়েছে। মৌলভীর ছোট ছেলে আবুল মনসুর কক্সবাজারের একটি মোদির দোকানে সামান্য চাকরি করে অথচ সে ব্যবহার করে ২লক্ষ টাকা দামের মটর সাইকেল যা সত্যি এলাকাবাসিকে হকবাক করেছিল্। তবে তার দুই ছেলে ইয়াবা নিয়ে আটক হওয়ার এলাকার মানুষ বুঝতে পেরেছে এই টাকার উৎস কোথায়।
এব্যাপারে রামু থানার নবাগত ওসি মোঃ আনোয়ারুল হোসেন জানান, আমি নতুন আসায় অনেক কিছু অবগত সয় । আমি এখনই সংশ্লিষ্ট গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জকে অবগত করছি এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.