খুলনা-কলকাতা ট্রেনের যাত্রা শুরু আজ

ওয়ান নিউজ ডেক্স: কলকাতা-খুলনা ট্রেনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। এদিন সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার চিৎপুর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার রেল টার্মিনাল থেকে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ নামে নতুন এই যাত্রীবাহী ট্রেনটি খুলনার দিকে ছেড়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবংয় দিল্লি থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করবেন। এ উপলক্ষ্যে কলকাতা স্টেশনেও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, সাংসদ ও রেলওয়ে বোর্ডের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, বিধায়ক মালা সাহা, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্রসহ ভারতীয় রেলের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

তবে প্রথম দিন শুভেচ্ছা যাত্রা হিসেবে দুই দেশের মধ্যে চলবে ‘বন্ধন’ ট্রেনটি। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম দিনে সাধারণ যাত্রীরা ওই ট্রেনে যেতে পারবেন না। ট্রেনের যাত্রী হয়ে উপস্থিত থাকবেন দুই দেশের সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও রেলের কর্মকর্তারা। বাণিজ্যিকভাবে ওই ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে ১৬ নভেম্বর থেকে।

সূত্রে খবর, ‘বন্ধন’ ট্রেনটি সপ্তাহে দুই দিন কলকাতা ও খুলনার মধ্যে চলাচল করবে। কলকাতা থেকে খুলনার দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটারের মতো।

এই পথ অতিক্রম করতে সময় নেবে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার কাছাকাছি। নতুন ট্রেনটি কলকাতা থেকে ছেড়ে খুলনায় পৌঁছে রাতেই ফিরে আসবে কলকাতায়। নতুন এই ট্রেনটিতে আসন সংখ্যা থাকছে ৪৫৬টি। এর মধ্যে ৩১২টি এসি চেয়ার ও কেবিন চেয়ার থাকছে ১৪৪টি। যদিও ট্রেনের টিকিটের মূল্য নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

‘বন্ধন’এর যাত্রা শুরুর পাশাপাশি এদিন কলকাতার চিৎপুর রেল স্টেশনেই মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের অভিবাসন ও শুল্ক পরীক্ষার বিষয়টিরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। এতদিন মৈত্রীর যাত্রীদের অভিবাসন ও শুল্ক পরীক্ষার বিষয়টি ভারতের গেদে ও বাংলাদেশের দর্শনাতে করা হতো। পরীক্ষার জন্য যাত্রীদের নিজেদেরই তাদের মালপত্র নিয়ে ওই দুইটি স্টেশনে নামতে হতো। কিন্তু আগামী ১০ তারিখ থেকে যাত্রা স্টেশনেই এই পরীক্ষা সেরে ফেলার কাজ শুরু হবে। সেক্ষেত্রে কলকাতার যাত্রীদের চিৎপুর স্টেশনে এবং বাংলাদেশের যাত্রীদের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনে এই পরীক্ষা হবে। ইতিমধ্যেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে কলকাতা স্টেশনে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষার পরই যাত্রীরা ট্রেনে উঠে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন। নতুন এই ব্যবস্থায় যাত্রা সময়ও অনেক কমে যাবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.