সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁহঃ
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে দানাদার পরিপক্ষ লবণ উৎপাদন শীর্ষক লবণ চাষী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে কিশলয় স্কুল মিলনায়তনে ডুলা-ফুলছড়ি লবণ কেন্দ্র কতৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন বিসিক কক্সবাজার উপ মহাব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান।
লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় বিসিক কক্সবাজারস্থ কর্মকর্তা মনজুর আলমের সঞ্চালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন
ডুলা-ফুলছড়ি লবণ কেন্দ্র প্রধান রহমত উল্লাহ।
অনুষ্টানে আমন্ত্রিত প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর ড. বোরহান উদ্দীন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ প্রফেসার গোলজারুল আজিজ, খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান,খুটাখালী ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন।
লবণ চাষী ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আলোচনা করেন আবদুল গফুর সওদাগর,আকতার কামাল,ডাঃ শফিউল আলম ও অলি উল্লাহ।
লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় বিসিক কক্সবাজারস্থ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিশিষ্ট লবণ গবেষক মো: শামিম আলম প্রশিক্ষনে লবণ চাষীদের দানাদার পরিপক্ষ লবণ উৎপাদন বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। এসময় তিনি বলেন, বিসিক কর্তৃক উদ্ভাবিত পলিথিন পদ্ধতির লবণ উৎপাদন করতে হলে বিসিক লবণ প্রদর্শনী কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রদর্শিত পদ্ধতিতে দানাদার ও পরিপক্ষ লবণ উৎপাদন করা সম্ভব। তাহলে লবণের গুনগতমান উন্নয়নের মাধ্যমে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
বিসিক কক্সবাজার উপ মহাব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান পজেক্টরের মাধ্যমে পলিথিন পদ্ধতির লবণ চাষ বিষয়ে চাষীদের সাথে ব্যাপক আলোচনা করেন।
অনুষ্টানের সভাপতি বিসিক কক্সবাজার ডিজিএম হাফিজুর রহমান বলেন, বিগত মৌসুমে লবণ উৎপাদন এলাকায় ১৮ লক্ষ মে:টন লবনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৫ লক্ষ মে:টন লবণ উৎপাদন করা হয়েছে। এরপর পর মাঠে লবণ রয়েছে।
চলতি ২০২০-২১ সালের লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদনে সয়ংসম্পুর্ণতা কিভাবে অর্জন করা যায় এবং বিদেশ হতে লবণ আমদানী না করতে এ বছর নুন্যতম ৬৫ হাজার একর জমিতে ১৮ লক্ষ মে:টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনুষ্টানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ ড. বোরহান উদ্দীন বলেন, আবহাওয়া লবণ উৎপাদনের অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্র অর্জন সম্ভব। কালো লবণ উৎপাদনে লবণ মাঠ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। লবণের সাথে মিশ্রিত কাদা দ্বারা মিল এলাকার নদ নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যা পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে।
কালো লবণে মাটি বালি ও শামুকের কনা সহ ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত থাকায় মানসম্মত আয়োডিন যুক্ত লবণ তৈরী করা সম্ভব নয় বিধায় লবণ মিলাররা কালো লবণ ক্রয় করেনা।
কাজেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বিসিকের পরামর্শক্রমে বিসিক উদ্ভাবিত পলিথিন পদ্ধতিতে মানসম্মত দানাদার ও পরিপক্ষ লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের লবণ চাহিদা পুরণ করে লবণ আমদানী বন্ধ করার জন্য লবণ চাষী ও উদ্যোক্তাদের তিনি আহ্বান জানান।
প্রশিক্ষণে প্রায় শতাধিক লবণ চাষী ব্যবসায়ী উদ্দোক্তাসহ গোমাতলী লবণ কেন্দ্র প্রধান নাছির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.