ক্সবাজারে থামছেনা পাহাড় কাটা : আটক দু’শ্রমিকের সাজা
নেজাম উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
পর্যটন শহর কক্সবাজারে কোনমতেই থামছেনা পাহাড়কাটা। সরকারী বেসরকারী প্রয়োজন, ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও ভূমি দস্যুতার কারণে সারা বছরই চলছে পাহাড় কাটা। আইন, নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কতা কিছুই যেন কাজে আসছে না। দালান-কোঠা ও রাস্তা-ঘাট নির্মাণে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে এবং সরকারী বেসরকারী স্থাপনায় মাটি সরবরাহ করতে হরদম চলছে পাহাড় কাটা। এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্নভাবে কমপক্ষে দুই হাজার একর পাহাড় এবং বনভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে প্রতিবছর। এসব পাহাড় ও বনভূমিতে হচ্ছে সরকারী স্থাপনা, আবার কোথাও হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোথাও হচ্ছে ব্যক্তিগত স্থাপনা দালান কোঠা। আবার কোথাও রাস্তা, ব্রীজ কালভার্ট ও ইটভাটার জন্য মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে পাহাড়-জঙ্গল উজাড় করে। কোথাও পাহাড় জঙ্গল দখল করে নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। এভাবে আজ কক্সবাজারের পাহাড় জঙ্গল ক্ষতবিক্ষত। আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল মোটেল জোনের পেছনে পাহাড় কাটার সময় অভিযান চালিয়ে দুই মাটি শ্রমিককে আটক করে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহাকরী পরিচালক সর্দার শরীফুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে সর্দার শরীফুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কাটা কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। প্রভাবশালীরা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত থাকলেও মাঠে বা স্পটে পাওয়া যায় লেবার শ্রমিকদেরকে। লোকবল ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবে তারা অনেকটা দুর্বল পাহাড় খেকোদের কাছে। তার পরেও গতকাল কলাতলীর লাইট হাউজ পাড়ার ওই পাহাড়ে তিনি নিজে মোবাইল কোর্ট নিয়ে অভিযান চালিয়ে হাতে নাতে দুই জনকে আটক করেছেন। মোহাম্মদ শাব্বির ও মোঃ সোনামিয়া নামের ওই দুই শ্রমিককে একমাসের সাজা দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। সর্দার শরীফ আরো জানান, কলাতলীর লাইট হাউজ পাড়ার সরকারী ওই খাস শ্রেণীর পাহাড়ে মাটি কাটার অভিযোগে ইতিপূর্বেও সরকারদলীয় কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। তিনি দুঃখ করে বলেন, আজ পাহাড় কাটার সাথে দুইজন সাংবাদিক জড়িত থাকার কথা নিশ্চিত হওয়াগেছে। তাহলে আর পাহাড় কাটা বন্ধ হয় কেমনে বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.