চকরিয়া সংবাদদাতা:
মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদে পিতা ও পুত্রকে দিনভর আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের এক পর্যায়ের পুলিশের হস্তক্ষেপে নির্যাতিত পিতা-পুত্রকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। এনিয়ে কোনাখালী ইউনিয়নসহ উপজেলা জুড়ে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চরম ক্ষোভের সৃষ্টিসহ তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভূক্তভোগী ও নির্যাতিতসহ পরিবারসহ স্থানীয় সচেতন মহল অভিযুক্ত চেয়ারম্যানসহ জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তি দাবী জানিয়েছেন। উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ৮ নভেম্বর সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পযর্ন্ত সময়ে ঘটেছে এ ঘটনা। এনিয়ে নির্যাতিত চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড পুরুইত্যাখালী গ্রামের আবু তৈয়ব প্রকাশ তৈয়ব মিয়ার পিতা হাজী নুরুল কবির বাদী হয়ে ৯নভেম্বর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
অভিযোগে ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড পুরুইত্যাখালী গ্রামের হাজী নুরুল কবিরের ছেলে আবু তৈয়ব প্রকাশ তৈয়ব মিয়াকে গত ৮ নভেম্বর সকাল ১১ টায় একটি মিথ্যা অপবাদে মোবাইল করে কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে যায়। ওই সময় কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার ও পরিষদের চৌকিদার শফিউল আলম ও সহযোগিরা মিলে পরিষদে রশি দিয়ে বেধে আটকে রেখে বেধম মারধরসহ অমানবিক নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে ছেলেকে উদ্ধারে পরিষদে যান তৈয়ব মিয়ার পিতা হাজী নুরুল কবির। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান দিদার নিজহাতে হতভাগা পিতাকে বেত্রাঘাত করে এবং ধাক্কা দিয়ে সিড়ি থেকে ফেলে দেয়। পরিষদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখে নির্মম নির্যাতনের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এবং বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আবু তৈয়ব ও তার পিতার কাছ থেকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ৩০০ টাকার নন জুড়িসিয়াল খালি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার পুলিশের খাতায় পলাতক রয়েছেন এবং চেক ডিজঅনার মামলায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভূক্ত আসামী হয়েও কিভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে যাবতীয় কাজকর্ম সম্পাদনসহ পরিষদে দুইজন নিরীহ লোককে আটকে রেখে নির্যাতন করতে পারেন, তা বোধগম্য নয়। পুলিশ বার বার বলছে তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তাকে পেলেই গ্রেফতার করা হবে। অথচ: প্রকাশ্যেই তিনি সব কাজ করছেন। চেয়ারম্যানের এ অত্যাচারের শেষ কোথায়?
এদিকে নির্যাতনের শিকার আবু তৈয়বের পিতা হাজী নুরুল কবির বাদী হয়ে, চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। ভূক্তভোগী ও নির্যাতিত পরিবার প্রশাসনের কাছে আইনী সহায়তা চেয়েছেন।
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত এজাহার পেয়েছেন। বিষয়টিগুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে, ঘটনারদিন বিকেলে খবর পেয়েই তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ তাকে গ্রেফতারে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.