নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে কুতুবদিয়ায় ৮০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার নির্ধারিত ফরমে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করে এ তথ্য জেলা প্রশাসনে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুতুবদিয়ার ইউএনও মোঃ নুরের জামান চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে লবণ, মাছ, কৃষিজ, ঘরবাড়ি, বেড়ীবাঁধ, বনজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সবকিছু আনা হয়েছে। গত ২৬ মে ও ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে এই ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলোর মধ্যে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পশ্চিম আলী আকবর ডেইল বায়ু বিদ্যুৎ এলাকার বিস্তৃর্ণ বেড়িবাঁধ, জেলেপাড়া, হায়দার বাপের পাড়া, নাসিয়ার পাড়া, হদ্দার পাড়া, তেলী পাড়া, পন্ডিত পাড়া, কাহার পাড়া, কাজীর পাড়া, সাইট পাড়া, কিরণ পাড়া, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া, উত্তর কৈয়ারবিল, উত্তর ধুরুং সহ কুতুবদিয়ার প্রায় সব ইউনিয়ন কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান-ইউএনও মো: নুরের জামান চৌধুরী।
গত ২৬ মে এবং ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চাইতে ৫/৬ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন সামুদ্রিক জোয়ারের পানিতে কুতুবদিয়ার প্রায় ৬ শত বাড়িঘর ডুবে যায় এবং অনেকাংশে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যায়। প্রায় ১৫০ বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে যায়। ফলে সহায় সম্পদ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে এসব এলাকার মানুষ। তাদের অনেকে টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলী আকবর ডেইল উচ্চ বিদ্যালয়, কুতুব আওলিয়া দাখিল মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলো। শনিবার ২৯ মে থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজন বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে বলে জানান ইউএনও মোঃ নুরের জামান চৌধুরী।
গত ২৫ মে কুতুবদিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সরকার ১৫ মেঃ টন চাল এবং নগদ ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়। যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, কুতুবদিয়ার ইউএনও মোঃ নুরের জামান চৌধুরী গত ২৫ মে অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানার আগের দিনই কুতুবদিয়ায় ইউএনও হিসাবে যোগদান করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.