কুতুবদিয়ায় আরো ১৭টি পরিবার পাচ্ছে ঘর

মহিউদ্দীন কুতুবী।
দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় দ্বিতীয় ধাপে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আবারো নতুন ঘর পাচ্ছেন ১৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রোববার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় ধাপে ভূমিহীন, গৃহহীন এসব পরিবারকে বিনামূল্যে দুই শতক জমি বন্দোবস্তিসহ সেমি পাকা ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

কুতুবদিয়া উপজেলার দ্বিতীয় ধাপের ১৭টি ঘরের মধ্যে ১০টি ঘর সম্পূর্ণভাবে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং সাত(৭) টির কাজ চলমান, দ্রুতই সবগুলো ঘরের কাজ সম্পন্ন করে উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস৷ এর আগে প্রথম ধাপে কুতুবদিয়ায় ২০জন ভূমিহীন প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়েছেন তদমধ্যে ১৪টির কাজ সম্পন্ন করে নির্ধারিত ভূমিহীনদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাকী ৬টি ঘর ও কাজ শেষ করে এইবার বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান৷ তিনি আরো জানান বাইরে থেকে সরঞ্জামাদি এনে নির্মাণ স্থানে পৌছানো দুরুহ এবং কুতুবদিয়ায় খাস জমির সল্পতা থাকায় জমি খোঁজেবের করে নির্মাণ কাজে হাত দিতে বিলম্ব হওয়ায় সবগুলো ঘর একসাথে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি৷ প্রতিটা ঘরের প্রাক্কলীত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রথম ধাপে(২০)টি ১লক্ষ ৭১হাজার এবং দ্বিতীয় ধাপে(১৭)টি ১লক্ষ ৯০হাজার টাকা, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে উপজেলায় দুই ধাপে মোট ৩৭টি ভূমিহীন পরিবার পাবে তাঁদের মাথা গোঁজার ঠাঁই৷

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ নুরের জামান টিপু বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলার গরীব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফোটাবে তাই “মুজিববর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রী এই মহতী স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরের লক্ষ্যে খাস জমি বন্দোস্ত করে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিগত ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে ২০টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৭টি সহ মোট ৩৭টি পরিবার কুতুবদিয়ায় নতুন ঘর পাবে৷

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.