কুতুপালংয়ে দুই হাজার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তায় রোড ডিভাইডার স্থাপন
ইউএনএইচসিআর ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ
ইমাম খাইরঃ
উখিয়ার কুতুপালং বিশ্বের অনেকের কাছে একটি পরিচিত জনপদের নাম। যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরটি অবস্থিত।
২০১৭ সালে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটে। যারা উখিয়া এবং টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনে সড়কে বেড়েছে যানবাহন। এর ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে দুর্ঘটনা।
বিশেষ করে উখিয়ার সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা কুতুপালং। এখানেই রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয় এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই দুই স্কুলে রয়েছে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী। স্কুলের সামনের সড়কে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় ও কুতুপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, সড়ক দুর্ঘটনারোধে তাদের স্কুলের সামনে রোড ডিভাইডার বা গতিরোধক স্থাপনের। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তারা এ দাবি উত্থাপন করে আসছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় তা হয়ে ওঠেনি।
জনদাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে অবশেষে রোড ডিভাইডার স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশন।
দাতা সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর আর্থিক সহায়তায় বুধবার (১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে রোড ডিভাইডার স্থাপন উদ্বোধন করেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।
এ সময় ইউএনএইচসিআর-এর কমিউনিটি বেজড প্রটেকশন এসোসিয়েট জামাল উদ্দিন, কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও আঞ্চলিক টীম লিডার জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
রোড ডিভাইডার পেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা আনন্দিত হয়েছে।
তারা মনে করছে, এই সড়কে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।
এ প্রসঙ্গে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও আঞ্চলিক টীম লিডার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর দাবি উপস্থাপনের পর গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ইউএনএইচসিআর। রোড ডিভাইডার স্থাপনে উদ্যোগ গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপার নিশ্চিত করতে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় এবং কুতুপালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ৬টি রোড ডিভাইডার স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে এলাকাবাসী দীর্ঘদিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবির পূর্ণতা পেল।
ওই জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), ইউএনএইচসিআর, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে কোস্ট ফাউন্ডেশন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.