কি কারনে নতুন ভবনে যেতে চান না চেয়ারম্যান ?

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

কি কারনে নতুন ভবনে যেতে চায় না চেয়ারম্যানসহ তার পরিষদ ? নিজস্ব ভবন হয়েছে দুই বছর আগে। এরপরও পৌর এলাকার পুরোনো ভবনটি ছাড়ছে না ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কর্তৃপক্ষ।

 

২৫ বছর ধরে এ ভবনে রয়েছে তারা। আর নিজস্ব ভবন হয়নি, এই অজুহাতে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ ২৫ বছর ধরে পৌর এলাকার পুরোনো ভবনে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফলে ইুনিয়ন দুটির বাসিন্দাদের দীর্ঘ পথ মাড়িয়ে সেবা নিতে হচ্ছে। পৌরসভা, জেলা প্রশাসন, এমনকি মন্ত্রণালয়ের চিঠিও পরিস্থিতি বদলাতে পারেনি। শৈলকুপা পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৯২ সালে।

 

পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুজ্জামান বলেন, পৌরসভা গঠনের পর মনোহরপুর ইউপি ও উমেদপুর ইউপির ভবন দুটি পৌর এলাকার মধ্যে পড়ে। জায়গা দুটি ছেড়ে দিতে ইউপি চেয়ারম্যানদের বারবার অনুরোধ করা হলেও তাঁরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। উমেদপুর ইউপির জন্য গোবিন্দপুর গ্রামে তৈরি আধুনিক নকশার ভবনটির নির্মাণ ২০১৫ সালে শেষ হয়। কিন্তু পৌরসভার কবিরপুর এলাকার পুরোনো ভবনটি ছাড়ছে না ইউপি কর্তৃপক্ষ।

 

গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, তাঁদের গ্রামেই রয়েছে ইউপির নিজস্ব ভবন। অথচ সেবা পেতে তাঁদের কষ্ট করে শৈলকুপা শহরে যেতে হচ্ছে; এটা চরম দুঃখজনক। এ বিষয়ে উমেদপুর ইউপির চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লা জানান, ভবন হলেও এখনো বিদ্যুৎ-সংযোগ হয়নি। এ কারণে তাঁরা নিজস্ব ভবনে যেতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন, বর্তমান ভবনের সামনে ইউনিয়নের টাকায় তৈরি কয়েকটি দোকানঘর রয়েছে। এগুলোর জন্য পৌরসভাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু তারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

 

এদিকে মনোহরপুর ইউপির নিজস্ব ভবন এখনো হয়নি। ২০১৫ সালে একই সময়ে এই ইউপি ভবন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জায়গা নির্বাচন নিয়ে সমস্যার কারণে প্রকল্প আটকে আছে। নিজস্ব ভবন নেই, এই অজুহাতে ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা পৌরসভার কাছে সময় চেয়ে বসে আছেন। চেয়ারম্যান পুরোনো ভবনটি ছাড়তে চান না বলেই নিজস্ব ভবনের জন্য জায়গা ঠিক করতে গাফিলতি করছেন।

 

গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আরিফ রেজা বলেন, উপযুক্ত জায়গা পাচ্ছেন না বলেই ভবনের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পৌরসভার মেয়র আশরাফুজ্জামান জানান, ২০০৯ সালের পর তাঁরা সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যানদের নয়বার চিঠি দিয়েছেন।

 

এমনকি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের দপ্তর ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁরা ভবন ছাড়তে নারাজ। ফলে পৌরসভা ওই এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে পারছে না। পাশাপাশি ইউনিয়নের বাসিন্দাদেরও অযথা কষ্ট করতে হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.