কাশিপুর ইউনিয়নে ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল,আবারো পদ পেতে মরিয়া বহিষ্কৃত মনিরুজ্জামান মানিক:
কাশিপুর প্রতিনিধি:
কাশিপুর ইউনিয়নে পদ পেতে ‘মরিয়া’ বহিষ্কৃত মনিরুজ্জামান মানিক। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে সাবেক এই ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কৃত হন।
কিন্তু দল আসন্ন ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিলে ত্যাগী কর্মীদের পাশাপাশি কমিটিতে আবারো পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মনিরুজ্জামান মানিক এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।
বহিষ্কৃত নেতা পুনরায় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় তৃণমুল নেতাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে বলেও খবর পওয়া যায়।
যদিও,বহিষ্কৃতরা দলের কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে না বলে নির্দেশ দেওয়া আছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্দেশ মতে ।
এদিকে কাশিপুর ইউনিয়ন আ:লীগ সূত্রে জানা যায়,গত ৩১ অক্টোবর ২০১৬ইং তারিখে ফুলবাড়ী উপজেলার সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কাশিপুর ইউনিয়নের মনিরুজ্জামান মানিক আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মটর সাইকেল প্রতীকে নির্বাচন করেন। কিন্তু উনি বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামীগের প্রার্থীর পরাজিত হন এবং উক্ত ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রাথী জয়লাভ করেছিলো।
পরে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক মানিককে কেন্দ্রীয়ভাবে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল বহিস্কৃত নেতাকর্মীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে রাখার জন্য মত দেন। কিন্তু গঠনতন্ত্রে পরিস্কার লেখা আছে প্রাথমিক সদস্য পদে থাকার এক বছর না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বহিষ্কৃত নেতাকর্মী দলের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারবে না।
এদিকে সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কারের পর তাঁদের দলের সব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
দলের এমন সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বহিষ্কৃত নেতা ও কর্মীদের লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। খবর জাতীয় অনলাইন মাধ্যমের।
উল্লেখিত ইউনিয়ন আ:লীগের একাধিক সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছে বহু বিতর্কিত ও বহিষ্কৃত হাইব্রিড ধারী নেতা মনিরুজ্জামান মানিক।
গঠনতন্ত্র না মেনে উক্ত মানিক আবারও কাশিপুর ইউনিয়ন আ:লীগের কমিটিতে পদ পেতে প্রার্থী হওয়ায় উক্ত ইউনিয়েনের তৃণমুল নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কাশিপুরের কয়েকজন নেতা জানান, “দল ভারী করার জন্য অনেকে হাইব্রিড নেতাদের কমিটিতে আনতে চায়। আবার বহিষ্কৃতদের অনেকেরই পদ পেতে মোটা টাকার মিশনে নেমেছে দল যেহেতু ক্ষমতায়। অতীতেও যারা পদ পেয়ে পদের অমর্যাদা করেছে। এ ধরনের কাউকে পদ না দেবার আহ্বান জানান তাঁরা”।
বহিষ্কৃতরা কোন পদে আসতে পারবে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সরকার বলেন, “যাঁরা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কৃত হয়,তাঁরা কখনো পদে আসতে পারে না। বহিষ্কৃতদের দলে পদ দেওয়া হয় না”।
যদিও তৃণমূলের দাবী মনিরুজ্জামান মানিক যাতে কাশিপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়ে পদ না পায়।
তথ্যমতে ,উক্ত বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর স্থানীয় তৃনমুল কর্মীদের একটি স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে উক্ত কাশিপুর ইউনিয়নে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
কাশিপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা দলীয় সভাপতি বরাবর একটি চিঠি পাঠান। সেই চিঠির একটি করে কপি কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া হয়। দলীয় সাধারণ সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বরাবরে প্রেরণ করা হয় বলে জানা যায়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.