মোঃ নেজাম উদ্দিন,
কাল( বৃহস্পতিবার) ডাকা অর্ধদিবস হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, খাদ্যসহ নিত্যপণ্য ও পরিবহনের ভাড়া কমানো এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে এই হরতাল আহ্বান করা হয়েছে। নিশ্চিত করেছেন কমিউনিস্ট পার্টি কক্সবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডঃ নাসির উদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশবাসীকে রাজপথে থেকে অর্ধদিবস হরতাল পালনের আহ্বান জানানো হয় ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন থেকে। তারপরেও সরকার এসব দাবি বাস্তবায়ন না করলে আগামীতে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
হরতাল চলাকালে হাসপাতাল, জরুরি সেবাদানকারী যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, লাশ বহনকারী গাড়ি, গণমাধ্যমের গাড়ি, ওষুধের দোকান, খাবার হোটেল) হরতাল কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।
কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডঃ নাসির উদ্দিন আহমদ জানান, আজ (২৪ আগস্ট) পুরোদিন কক্সবাজার শহরে পথসভার আয়োজন করা হয় এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ হরতালের পালন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি ও সরকারের লাগামহীন কথায় সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
বর্তমান সংকটে মানুষ বাঁচাতে দায়িত্বশীল আচরণ না করে সরকার নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েই চলেছে। সম্প্রতি মোটা চালসহ চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সর্বত্র মূল্যবৃদ্ধি মানুষের জীবনকে একেবারেই অতিষ্ঠ করে তুলছে।
এর মধ্যে পানির দাম সেপ্টেম্বর থেকে আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোরও পাঁয়তারা চলছে। মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে সারা দেশে শ্রমজীবী মানুষই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন রুহিন হোসেন।
সংকটকালে দেশের লক্ষাধিক চা–শ্রমিক মজুরি বাড়ানোর জন্য দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করলেও মালিক-সরকার সময়ক্ষেপণ করে দাবি অগ্রাহ্য করে চলছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে চা-শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরিসহ সাত দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকার ও মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.