কারা ছিলেন বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী : হাসপাতালে ভর্তি আছেন কারা?

ওয়ান নিউজ ড়েক্সঃ

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান সোমবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছে। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রোপ বিমানটি ৬৭ আরোহী ও চার ক্রু নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু ছিল। এদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জন নেপালের নাগরিক।’

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোম্বারডায়ার ড্যাশ-৮ বিমানটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এতে আগুন ধরে যায়।

নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিব গৌতম বলেন, বিমানটির পাইলটকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে পাইলট। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ে বিমানটি।

বিমান বিধ্বস্তের পরপরই ঘটনাস্থলে উদ্ধাকারী দল, সেনাবাহিনী ও অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায়। বিমাবন্দরের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, বিমানটি বিধ্বস্তের আগে আকাশে কাঁপতে শুরু করে।

যাত্রীদের তালিকা
US bangla যারা যাত্রী ছিলেন :

১. রিদওয়ানা আবদুল্লাহ (মালদ্বীপ)
২. ফয়সাল আহমেদ (বাংলাদেশ)
৩. শাহরীন আহমেদ (বাংলাদেশ)
৪. ইয়াকুব আলী (বাংলাদেশ)
৫. আলীফুজ্জামান (বাংলাদেশ)
৬. আলমুন নাহার এনি (বাংলাদেশ)
৭. বিলকিস আরা (বাংলাদেশ)
৮. শিলা বেজগেইন (নেপাল)
৯. বিলকিস নাহার বানু বেগম (বাংলাদেশ)
১০. আলজিনা বাড়াল (নেপাল)
১১. চারু বাড়াল (নেপাল)
১২. আখতারা বেগম (বাংলাদেশ)
১৩. শাহীন বেপারী (বাংলাদেশ)
১৪. সুবিন্দ্রা সিং (নেপাল)
১৫. বসন্ত বহরা ()
১৬. সামিরা বেঞ্জাকর (নেপাল)
১৭. প্রাবীন চিত্রাকর ()
১৮. নাজিয়া আফরিন চৌধুরী (বাংলাদেশ)
১৯. সাঞ্জনা দেবক্তা ()
২০. প্রিন্সী ধামী (নেপাল)
২১. গ্যয়নী কুমারী গুরাং (নেপাল)
২২. রেজায়ানুল হক (বাংলাদেশ)
২৩. রকিবুল হাসান (বাংলাদেশ)
২৪. মেহেদী হাসান (বাংলাদেশ)
২৫. ইমরানা কবির হাসি (বাংলাদেশ)
২৬. কবির হোসেন (বাংলাদেশ)
২৭. ধীনেশ হুমাগাইন ()
২৮. সানজিদা হক (বাংলাদেশ)
২৯. হাসান ইমাম (বাংলাদেশ)
৩০. নজরুল ইসলাম (বাংলাদেশ)
৩১. শ্রেয়া ঝাঁ (নেপাল)
৩২. পূর্ণিমা লোহানী (নেপাল)
৩৩. মেলী মাহারজান (নেপাল)
৩৪. নীগা মাহারজান (নেপাল)
৩৫. সঞ্জয়া মাহারজান (নেপাল)
৩৬. যাং মিং (চায়না)
৩৭. আঁখি মনি (বাংলাদেশ)
৩৮. মীনহাজ বিন নাসির (বাংলাদেশ)
৩৯. কৈশাব পান্ডে ()
৪০. প্রশান্না পান্ডে (নেপাল)
৪১. বিন্দু রাজ পাড়োয়াল ()
৪২. হরি শংকর পাডোয়াল ()
৪৩. সঞ্জয় পাডোয়াল (নেপাল)
৪৪. এফএইচ প্রিয়ক (বাংলাদেশ)
৪৫. তামারা প্রিয়ন্ময়ী (শিশু ৩ বছর) (বাংলাদেশ)
৪৬. মতিউর রহমান (বাংলাদেশ)
৪৭. এস এম মাহমুদুর রহমান (বাংলাদেশ)
৪৮. আশিষ রনজিৎ ()
৪৯. তাহিরা তানভীন হাসি রেজা (বাংলাদেশ)
৫০. পিয়াস রায় (বাংলাদেশ)
৫১. শেখ রাশেদ রুবায়েত (বাংলাদেশ)
৫২. কৃষ্ণা কুমার সারানী (নেপাল)
৫৩. উম্মে সালমা (বাংলাদেশ)
৫৪. আশনা সেকয়া (নেপাল)
৫৫. সনম সেকয়া (নেপাল)
৫৬. অঞ্জিলা শ্রেষ্ঠা (নেপাল)
৫৭. সুরানা শ্রেষ্ঠা (নেপাল)
৫৮. সাঈদা স্বর্ণা (বাংলাদেশ)
৫৯. হরিপ্রসাদ সুবেদী ()
৬০. দয়ারাম থাম্রাকার (নেপাল)
৬১. বালাকৃষ্ণা থাপা (নেপাল)
৬২. শ্বেতা থাপা (নেপাল)
৬৩. কিশোরী ত্রিপাঠী ()
৬৪. আবাধেশ কুমার যাদব (নেপাল)
৬৫. অনিরুদ্ধ জামান (শিশু ৮ বছর) (বাংলাদেশ)
৬৬. নুরুজ্জামান (বাংলাদেশ)
৬৭. রফিকুজ জামান (বাংলাদেশ)

রাত ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে ইউ-এস বাংলার সিইও ইমরান আসিফ বলেন। আমরা এখন এপর্যন্ত ১৯ জন বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। যারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
১৯ জনের নাম হচ্ছে…
তারা নেপালে চিকিৎসাধীন আছে
নাম গুলো হচ্ছে ইমরানা কবির হাসি, পিঞ্জি ধামী, সামিরা বেজাংকার, কবির হোসেন, মেহেদী হাসান, রেজওয়ানা আব্দুল্লাহ, সোহারনা সাইয়িদা কামরুনন্নাহার, শাহরিন আহমেদ, মো. শাহিন ব্যাপারী, কিশোর ত্রিপাতী, হারি প্রসাদ সুবেদী, দায়রাম তামরাকার, কেশন পান্ডে, বাসন্ত বহুড়া, আশিশ রনজিত, বিনোদরাজ পডুয়াল, সানাম সাকয়া, ডিনেস হুমাগেইন, মো. রেজওনুল হক।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.