জে.জাহেদ,চট্টগাম ব্যুরো:
যার ব্যথা সে জানে। কতটা নির্মম হাড় ভাঙ্গা হাতের ব্যথা। তারপরেও ব্যান্ডেজ করা ঝুঁলানো ডান হাত। ডাক্তারের পরামর্শ উপেক্ষা করে অসুস্থ শরীর নিয়ে জনগনের পাশে হাজির কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফারুক চৌধুরী।
আজ দুপুর সাড়ে ১১টায় উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগরের ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর পশ্চিম পাশের ডোনার খাল পরিদর্শন করেন। এবং সরেজমিনে মাঠে দাড়িয়েই নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।
এতে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। জনগণের সেবক হিসেবে চষে বেড়াচ্ছেন কর্ণফুলী উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের প্রতিটি গ্রাম।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উপজেলার হাজারো মানুষের নিরাপত্তা ও বাড়িঘর সুরক্ষায় কর্ণফুলী নদী তীর ঘেঁষে দ্রæত গাইড ওয়াল নির্মাণ, অটো- সুইচগেইট নির্মাণ ,কালভাট নির্মাণ করার জন্য ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরির নির্দেশনা দেন । যেন এলাকার মানুষের সমস্যা না হয়।
ইতিমধ্যে একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন পরিকল্পিত নগরী হিসেবে সমৃদ্ধশালী উপজেলায় রূপান্তরিত করার মহৎ প্রয়াসে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। একের পর এক জনবান্ধব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তিনি।
সুুত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত পরিশ্রম ও ঠান্ডা গরম জনিত আবহাওয়া তার উপর অসাবধানবশত দূর্ঘটনায় ডান হাতের হাড়ের ফ্রেকচারে আক্রান্ত। ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন । যদিও অত্যন্ত ক্লান্ত চেহারা তারপরেও দমে নেই তিনি। এক দৌঁড়ে বিএফডিসি মাঠে চলমান বঙ্গব›ধু গোল্ডকাপ টূর্নামেন্টে হাজির। আরেক ফাঁেক এলাকার দুঃখ দুর্দশনাগ্রস্ত মানুষের মাঝে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। যতই রোগে শোকে আক্রান্ত হোক না কেন।
এ যেন কর্ণফুলীবাসীর স্বপ্ন পুরণে ভুমিপ্রতিমিন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির দিকনির্দেশনায় এক ক্লান্তিহীন জনপ্রতিনিধি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.