অনলাইন ডেস্ক:
মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাবিশ্ব বিপর্যস্ত। প্রতিটি হাসপাতালের রোগীদের লম্বা লাইন রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। পাশাপাশি যারা বাড়িতে থেকে নিজেরা নিজেদের চিকিৎসা করছেন তারা চিন্তিত যে ঠিক কি করলে তারা সুস্থ হবেন দ্রুত। তবে আমাদের জীবনধারা সঠিক রাখলে কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
আমরা সবাই গৃহবন্দি লকডাউনে। এর ফলে বাড়িতে আটকে থেকে আরও অনেক রোগের শিকার আমরা হচ্ছি আমাদের অজান্তে। প্রতিদিন আমাদের গায়ে লাগাতে হবে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি এর অভাবে তৈরি হচ্ছে আমাদের শরীরে কিছু রোগ। কিছু বিশেষ খাবার রয়েছে যার দ্বারা এই অভাব মেটানো সম্ভব।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অল্প পরিশ্রমেই প্রাপ্তবয়স্করা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। হাড় ও মাংসপেশিতে প্রায়ই ব্যথা অনুভব করছেন তারা। সব সময় শরীর খারাপ রয়েছে এমন মনে হচ্ছে অনেকেরই। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলে বা মাটিতে বসলেও অস্বস্তি কাটছে না তাদের। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলেই বুঝবেন যে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হচ্ছে আপনার।
এ সময় হাড়ে পুষ্টি জোগাতে ভিটামিন দরকার। পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। এটি একটি স্টেরয়েড হরমোন। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে এই কয়েকটি খাবার রাখলে আর স্টেরয়েড ওষুধ খেতে হবে না।
বিভিন্ন ধরনের মাছ- বিভিন্ন মাছে ভরপুর রয়েছে ভিটামিন ডি। স্যালমন, টুনা, ম্যাককেরেলে পাবেন ভিটামিন ডি। চিকিৎসকরা বলছেন যে, দৈনিক ভিটামিন ডি এর চাহিদার ৫০ শতাংশ পূরণ করতে পারে একটি টুনা মাছের স্যান্ডউইচ বা তিন আউন্স ওজনের একটি স্যালমান মাছের টুকরো।
ডিম- ডিমে কিছু পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলে এ সমস্যা রয়েছে তাদের ডিমের কুসুম খাওয়া যাবে না। এছাড়া ব্রেকফাস্টে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।
মাশরুম- মাশরুমের পুষ্টিগুণ আমরা অনেকেই জানলেও তা খাই না। বলা হয় যে পরটোবেললো মাশরুম সূর্যের আলোয় বেড়ে ওঠে। তাই এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.