করোনাকালে ৭০ শতাংশের ওপর সাংবাদিক অফিস থেকে কোনও সহায়তা পাননি

সিবিএন ডেস্ক:

মাঠ পর্যায়ের ৭০ দশমিক ৩১ শতাংশ সাংবাদিক বলেছেন, তারা এই করোনাকালে অফিস থেকে কোনও সহায়তা পাননি। সুরক্ষা সরঞ্জামের মধ্যে মাস্ক পেয়েছেন ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার পেয়েছেন ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পিপিই পেয়েছেন ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ সাংবাদিক।

ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) এর উদ্যোগে ৮টি জেলার ২০টি গণমাধ্যমের ১২৪ জন প্রতিনিধির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে প্রস্তুত প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রতিবেদনের সারাংশ উপস্থাপন করেন গাজী টিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।

জরিপে অংশ নেওয়া মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকরা তাদের মানসিক ট্রমার কথা উল্লেখ করেন।

৫৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ সাংবাদিক করোনাকালে কাজ করতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ৫৬ দশমিক ৮২ শতাংশ আর্থিক শঙ্কায় কাটিয়েছেন। ৪৫ দশমিক ৫১ শতাংশ নিজে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ছিলেন।সাংবাদিকদের সহায়তার চিত্রআলোচনায় বেশিরভাগ বক্তা বলেন, কেন্দ্র ও প্রান্তের সাংবাদিকদের সমান সুযোগ দেওয়া হয় না, কিন্তু এটাও স্বীকার করে নেন যে, তাদের বিষয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।

সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক রেজোয়ানুল হক রাজা। মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকদের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ অনেক ধরনের বাধার মধ্যে কাজ করতে হয় বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।

আলোচনায় মাঠ পর্যায় থেকে অনেক সাংবাদিক যুক্ত হয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। খুলনায় কালের কন্ঠের ব্যুরো চিফ গৌরাঙ্গ নন্দী সাংবাদিকদের সুপারিশগুলোর সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনিও কেন্দ্র ও প্রান্তের সংযোগ-সুবিধার যে বিভাজন, তা তুলে ধরেন।

প্যানেল আলোচক ছিলেন প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহসি, নিউজ ২৪ এর প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজমুন্নী, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুন, কালের কন্ঠের বার্তা সম্পাদক খায়রুল বাসার শামীম, একাত্তর টিভির বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর উপনির্বাহী সম্পাদক শাখাওয়াত লিটন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রধান বার্তাসম্পাদক আশিস সৈকত, যমুনা টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক ফাহিম আহমেদ, চ্যানেল আইয়ের বার্তা সম্পাদক শাকিলাজে সমিন ও বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক উদিসা ইসলাম।

আলোচনার শুরুতে এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান এ বিষয়ে জরিপের প্রয়োজনীয়তার বিষয় তুলে ধরেন। -বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.