হাবিবুর রহমান সোহেলঃ
রামুর কচ্ছপিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্টসহ যাবতীয় ফিঃ অতিরিক্ত নেওয়ার প্রতিবাদে, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারের অপসারণ ও শাস্তির দাবীতে, শিক্ষার্থী এবং অভিবাবকদের মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। ১৫ নভেম্বর রবিবার সকাল ১১ টার দিকে, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সত্তরে, কচ্ছপিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ও অভিবাবকদের আয়োজিত মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে, স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিবাবক সহ সুশিল সমাজের লোকজন বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষার্থীরা, তাদের স্কুলের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারকে অপসারণ করে, শাস্থির আওতায় আনার দাবী জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। সাধরণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দেশে করোনা কালিন সময়ে, বর্ততমান সরকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় হয়ে, অ্যাসাইনমেন্ট ফিঃ না নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা দিলেও, তাদের স্কুলে তা মানা হচ্ছে না। কোন শিক্ষার্থী তাদের প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারের দাবী কৃত টাকা দিতে না পারলে, তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া তাদের অ্যাসাইনমেন্টও জমা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা। এই ব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহানগীর আলম সিকদার জানান, প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রনয় চাকমার নির্দেশ অমান্য করে, মনগড়াভাবে টাকা উত্তোলন করছে। আর ওই টাকার কোন রকম রশিদও শিক্ষার্থীদের না দিয়ে নিজের মত করে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
এই ব্যাপারে অভিযোক্ত প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নিতে তার স্কুলের অফিসে গেলে, তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করে বলেন, তিনি ইউএনও,র অধিনে চলেন না। তাদের শিক্ষা অফিস তাকে টাকা নেওয়ার জন্য বলেছেন বলেও দাবী করেন।
এইদিকে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের
খবর পেয়ে দ্রুত ওই স্থানে ছুটে আসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও প্রনয় চাকমা। তিনি তৎক্ষানিক উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের উদ্দিশ্যে বলেন, ‘ আপনারা সান্ত হয়ে স্কুলে ফিরে যান, আমি এই ব্যাপারে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে, ওই শিক্ষক দোষী হলে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে রিপোর্ট দিবো। তাছাড়া, যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে, তাও ফিরিয়ে পাওয়ার আশ্বস্থ করেন প্রনয় চাকমা’।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.