প্রেস বিজ্ঞপ্তি,
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ২৯৬, (কক্সবাজার-৩) আসনের বিএনপি প্রার্থী লুৎফর রহমানের হলফনামায় তথ্য ও সম্পদ গোপনের অভিযোগ উঠেছে। কক্সবাজারের বিশাল সম্পদশালী ও শিল্পপতি লুৎফর রহমান তাঁর হলফ নামায় কৃষি ও অকৃষি জমির পরিমাণ দেখিয়েছেন যথাক্রমে-৩.১১ একর ও ১০.৭৬২৪ একর। কক্সবাজারের সবচেয়ে সম্পদশালী লুৎফর রহমানের সর্বমোট মাত্র ১৩.৮৭২৪ একর কৃষি ও অকৃষি জমি দেখাতে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা লুৎফর রহমানের তথ্য ও সম্পদ গোপনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে আপিল দায়ের করেছেন। প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ তার বিপক্ষে প্রায় ২০০০ একর জমির মালিকানা দাবি করে নির্বাচন কমিশনে এ আপিল দায়ের করেন।
এছাড়া লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে হলফনামায় ব্যাংক ঋণের তথ্য গোপন করার অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা। তিনি হলফনামায় ব্যাংক ঋণের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৩১,৭৬,৯৮,৯৩৫ টাকা। প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা ৩৮.১০,০০,০০০ টাকার ব্যাংক ঋণের তথ্যাদি নিয়ে আপিল দায়ের করেছেন। লুৎফর রহমান এই দায়ের কথাও দায়ের কলামে উল্লেখ করেননি। লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আয়কর বকেয়া রাখার তথ্য প্রমানাদি নিয়ে আপিলকারীরা অবস্থান নিয়েছেন। তাদের মতে হলফনামায় তিনি এই দায়-দেনার কথা সম্পুর্নভাবে গোপন করে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
কক্সবাজারের আওয়ামীলীগ নেতা রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেন, হলফনামায় তথ্য ও সম্পদ গোপনের অভিযোগে লুৎফর রহমানের প্রার্থীতা যে কোন আদালতে বাতিল যোগ্য। এনিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, তারাও আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। লুৎফর রহমানের তথ্য ও সম্পদ গোপনের বিষয়টি এখন কক্সবাজারে টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। সবার মুখে এখন লুৎফর রহমানের প্রার্থীতা বাতিলের গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.