কক্সবাজার হাসপাতালে জিম্মি হাজারো রোগী ও স্বজন।

মোঃ নেজাম উদ্দিন,ক্ক্সবাজার।

কক্সবাজারে কর্মরত ড়াক্তাররা জিম্মি করে রেখেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানিদের, মাসিক বা চুক্তি ব্যতিত অন্য মেড়িসিন প্রেসক্রিপশন করতে রাজি নয়, স্হানীয় ড়াক্তাররা, বর্তমানে ক্ক্সবাজার সদরে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে আনুমানিক ৩০০ জনের উপর ড়াক্তার চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে, এবং তারা বাৎসরিক বা মাসিক কয়েকটি কোম্পানির সাথে মৌখিক চুক্তি করে থাকে যে মাসিক এক কোম্পানির এক থেকে দুইটি ঔষুধ প্রেসক্রিপশন করবে ড়াক্তারকে মাসিক একটা মোটা অংকের টাকা দিতে হবে, এইদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেকনো ড়্রাগস এর জৈনক সেলসম্যান জানান, আমি ড়িজিটাল হাসপাতালে কর্মরত ড়াঃ আবদুল আওয়াল প্রামানিক স্যারকে নিয়মিত ছয়মাস ভিজিট করি এমন কি আমার সর্বদামি প্রোড়াক্ট দিয়ে উনাকে ভিজিট করতাম কিন্তুু উনি আমার কোম্পানির মেড়িসিন লিখতেন না, এর ব্যাপার বিভিন্ন জনের কাছে জানতে চাইলে একজন আমাকে বলেন, ম্যানেজ করেন সব হবে,আমি পরেরদিন তাই করলাম ভিজিট করার পর যখন তাকে খুলে বললাম যে আপনাকে কোম্পানির তরফ থেকে মাসিক অনারিয়াম ( মাসিক টাকা) দেওয়া হবে তখন তিনি আমাকে জানালেন আমার এখন দশটা কোম্পানিরর সাথে চুক্তি আছে তা জুন মাসে শেষ হবে তখন দেখা করবেন,এইদিকে তিনি আরো জানান বর্তমানে ড়িজিটাল হাসপাতালের একজন ড়াক্তারকে একটা বড় এলইড়ি টিভি উপহার দেওয়ার পর সে আমার প্রোড়াক্ট প্রেসক্রিপশন করছে,সরেজমিনে ক্ক্সবাজার সদর হাসপাতাল এর গেইট সামনে গেলে চোখে পড়ে অসংখ্য মোটরবাইক দাড়ানো ও বিভিন্ন
কোম্পানির প্রতিনিধিরা দাড়িয়ে আছে প্রেসক্রিপশন এ তার কোম্পানির মেড়িসিন লেখা হয়েছে কিনা এ পর্যায়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারন রোগীদের
গর্জনিয়া থেকে আসা রোগী আমিন জানান ভাই সবে হাপাতাল থেকে বের হলাম দেখি কয়েকজন ভদ্রলোক আমার প্রেসক্রিপশন দেখতে চাইছে,আমার হাত থেকে নিয়ে ছবি তোলা শৃরু করলো,
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান যেমন ড়াক্তাররা কোম্পানির কাছ থেকে মাসিক টাকা নিয়ে তাদের মেড়িসিন লিখছে কোন ঝাচায় বাচায় ছাড়া তেমনি বাইরে কোম্পানির লোকদের উৎপাত এই ব্যাপারে ক্ক্সবাজার সিভিল সার্জন এর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি দেশের বাইরে বলে জানান, এবং আরো কিছু জানতে বাংলাদেশ মেড়িকেল এসোসিয়েশন (BMA) ক্ক্সবাজার অফিসে গেলে সে খানে কাউকে পাওয়া যায়নি ভুক্তভোগীরা মনে করেন এই কোম্পানি আর ড়াক্তার মিলে তাদের পকেট ভারি করার জন্য যেমন তেমন ঔষুধ রোগীদের লিখে দিচ্ছে, যা ভয়ানক হতে পারে, এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভুক্তভোগীরা

অপেক্ষমান বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিতি সরকারী হাসপাতাল চত্তরে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.