কক্সবাজার ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে ইউজিসি প্রতিনিধি দল

‘দেশের সমুদ্রসীমা বিজয়ের সুফল কাজে লাগাতে ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র সম্পর্কিত অর্থনীতির উন্নয়নে জোর দিচ্ছে বর্তমান সরকার। আর ব্লু-ইকোনমির সুফল ঘরে তুলতে হলে দরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে কক্সবাজারে স্থাাপিত ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল শনিবার ও আগেরদিন শুক্রবার শহরতলীর দরিয়ানগরস্থ চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্সবাজার ক্যাম্পাস ‘ইন্সটিটিউট অফ মেরিন ফিশারিজ, বায়োডাইভার্সিটি এন্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন’ পরিদর্শনকালে এ মতামত ব্যক্ত করেন। এসময় তারা নবনির্মিত এই ক্যাম্পাসের কার্যক্রমে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে সমুদ্র সম্পর্কিত অর্থনীতির সুফল ঘরে তুলতে এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আশা করেন। পাশাপাশি এই ধরনের একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সিনিয়র সদস্য প্রফেসর ড. এম শাহনওয়াজ আলির নেতৃত্বাধীন উক্ত প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুরী কমিশনের সিনিয়র সদস্য প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন, সচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খালেদ, প্রতিনিধি দলের বিশেষজ্ঞ সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ ইন্সটিটিউটের প্রফেসর ড. মো. রাশেদ-উন-নবী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. ফেরদৌস জামান প্রমূখ।

প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ কক্সবাজার ক্যাম্পাসে স্থাপিত কাঁকড়া গবেষণাগারসহ ক্যাম্পাসের সার্বিক কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখেন।

কক্সবাজার ক্যাম্পাস পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ গতকাল শনিবার বিকালে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্সবাজার ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন। এসময় উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ এবং ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নুরুল আবছার খান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.