কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে ‘মোরা’
ওয়ান নিউজঃ ঘূর্ণিঝড় মোরা কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এটি কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। আবহাওয়া অধিদফতরের ১৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোরা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সকাল ৬টার দিকে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরো উত্তরে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
বিশেষ ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমূহকে পুনরায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে পুনরায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজারের ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সকাল ৮টার দিকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় মোরা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে। এর প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। ঝড়ে এসব এলাকায় বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহু গাছপালা।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভোর ৪টার পর থেকে সেন্টমার্টিন লণ্ডভণ্ড হতে শুরু করে। ৬টা পর্যন্ত সেন্টমার্টিনের দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে কাঁচা ঘর বেশি। আধা পাকা ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশির ভাগ ঘরের চালা উড়ে গেছে। এ ছাড়া বহু গাছপালা ভেঙে গেছে হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.