মোঃ কাউছার ঊদ্দীন শরীফঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলা ইসলামপুরে বিয়ে হওয়ার চার মাসে ও স্বামী হাসানের দাবী করা যৌতুক দিতে অপারগতায় স্ত্রী সীমা আক্তার (২০) নামের নববধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করেন নিহতের চাচা নুরুল কবির। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে ইসলামপুর ইউনিয়নের নাপিতখালী দুদুমিয়ার ঘোনা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারি পারিবারিক ভাবে পোকখালী ইউনিয়নের পোকখালী এলাকার জাফর আলমের ছেলে হাসানের সাথে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডীর ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়া এলাকার নুরুল আলমের মেয়ের সাথে বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় যৌতুক দাবি করে আসছিল। তাদের পরিবার আর্থিক সংকটে থাকায় যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা৷ যৌতুক না পেয়ে স্বামী হাসান, শাশুড়ী রোকসানা প্রায় সময় নববধূকে শারীরিক-মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো।তারই ধারাবাহিকতায় সীমাকে নির্যাতন করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ চাচা নুরুল কবিরের।ঘাতক মোহাম্মদ হাসান পলাতক রয়েছে, সে স্ব পরিবার থাকত কক্সবাজার শহরের বড় বাজার এলাকায়।
নুরুল কবির জানান, হাসানের পরিবার সীমাকে মেরে পেলে হাসপাতালে নিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। বিকালের দিকে শ্বাশুড়ি রোকসানা আক্তার সীমার অভিভাবকদের কল করে মেয়ের মাথা ব্যথা করে মাটিতে লুটে পড়ে এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায় বলে জানান।
পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনরা ঘটনাস্থল শাশুড় বাড়ী এসে দেখতে পান মেয়ে সীমার শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন। সকালে মৃত্যু হলেও বিকালের দিকে অবগত করা, তাড়াহুড়ো করে দাফন কাঁপনের প্রস্তুতি নেওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে ঈদগাঁও থানাকে অবহিত করলে অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হালিমের নির্দেশে থানার এসআই রেজাউল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
এবিষয়ে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানা যাবে। তবে স্থানীয় লোকজন নিহত সীমা আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে পুলিশকে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.