কক্সবাজারে মাদক, ইয়াবার বিরুদ্ধে আমার জিহাদঃ ড. একেএম ইকবাল হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার জেলার অর্ন্তগত উখিয়া উপজেলা কে মাদক মুক্ত করা হবে বলেন পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন। তিনি অরো বলেন, মাদক, ইয়াবার বিরুদ্ধে আমার জিহাদ, এদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন জিরো টলারেন্স। কিছু স্বার্থানেষী মহল রামুর বৌদ্ধ বিহারে হামলা চালিয়েছে। এ ধরনের কোন ঘটনা পুণরায়বৃত্ত না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইসলামের নামে সন্ত্রাস, নাশকতা, জঙ্গিবাদ, মাদক মুক্ত রাখতে হবে। অপরাধ থেকে মুক্ত রাখতে পারলে দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। আইন শৃংখলা রক্ষায় সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এ জন্য জনগণকে আন্তরিক হতে হবে। উখিয়া থানা কর্তৃক আয়োজিত আইনশৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উখিয়া থানা কম্পাউন্ডে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উখিয়া থানার তদন্ত (ওসি) মোঃ কায় কিসলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা।
বক্তব্য রাখেন, রত্নাপালং ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী, পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী, হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম, সাবেক ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান দীপক বড়ুয়া, উখিয়া কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি শফিউল আলম বাবুল, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, সুবধন বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় আনন্দ বৌদ্ধ বিহারের সাধারণ সম্পাদক রূপন বড়ুয়া, মাষ্টার জ্ঞানদর্শী বড়ুয়া, মধুসুধন বড়ুয়া, মিলন বড়ুয়া, জয়সেন বড়ুয়া, এড. রবিন্দ্র দাশ রবি, উখিয়া বৌদ্ধ ভিক্ষু সমিতির সভাপতি ধর্মপাল উখিয়া কলেজের প্রভাষক প্লাবন বড়ুয়া। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উখিয়া ষ্টেশন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুজিবুর রহমান। ত্রিপিটক পাঠ করেন ইন্দ্রিয় বড়ুয়া ও গীতা পাঠ করেন বিমল চক্রবর্তী। এ সময় বক্তারা আরো বলেন, উখিয়ার শত বছরের ঐতিহ্যগত ভাবে হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম বসবাস করে আসছে। এদের মধ্যে কোন ধরনের বিভেদ নেই। কিন্তু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে এখানকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অদিত্য বড়ুয়া রাহুল বলেন, উখিয়ার শৈলের ঢেবার আশপাশে ৫ থেকে ৬টি বৌদ্ধ বিহার রয়েছে। এর একটু দূরে কুতুপালং রোহিঙ্গাদের শরণার্থী ক্যাম্প। যেকোন মুহুর্তে রোহিঙ্গারা হামলার আশংখা প্রকাশ করেন। রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করার দাবী জানান। ওখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের দাবী জানান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.