কক্সবাজারে বাবা কর্তৃক নিজ কন্যাকে ধর্ষণ
অসহায় ধর্ষিত মেয়ের পাশে কক্সবাজার সদর ইউএনও মোঃ নোমান হোসেন প্রিন্স।
নেজাম উদ্দিন
কক্সবাজার সদর এর পিএমখালী ইউনিয়নের কাঠালিয়ামুড়া নামক স্থানে পাষন্ড পিতা কর্তৃক তার কন্যাকে ধর্ষণ এর অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতা মেয়েটির নাম সাফামারওয়া (বয়স ১৩) এবং সে স্থানীয় পিএখালী উচ্চ বিদ্যালয় এর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
ধর্ষিতা মেয়ে ও তার মা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিএমখালী ইউনিয়নের কাঠালিয়ামুড়া নিবাসী জনাব কলিম উল্লাহ্ এর সাথে জুমছড়ি নিবাসী খোরশিদা বেগমের বিবাহ হলেও গত ২০১৬ সালের ডিসেম্বর এ তাদের তালাক হয়। কলিমউল্লাহ্ এবং খোরশিদা বেগম এর দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাহাদের মধ্যে তালাকের পর ছোট কন্যা মায়ের সাথে নানার বাড়ীতে চলে অাসলেও বড় কন্যা সাফামারওয়া লেখাপড়ার জন্য তার বাবা কলিম উল্লাহ্ এর কাছে রয়ে যায়। সাফামারওয়া ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থানীয় পিএখালী উচ্চ বিদ্যালয় এর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী থাকলেও হঠাত একদিন তার বাবা কলিম উল্লাহ্ তার পড়াশোনা বন্ধ করে দেন।
ধর্ষিতার ভাষ্য মতে, ২০১৭ সালের মার্চ মাসের কোন একদিন জনাব কলিম উল্লাহ্ তার কন্যা সাফামারওয়া কে তার সাথে বিছানায় ঘুমাতে বাধ্য করে এবং পরে তাকে সারারাত ধর্ষণ করেন। এই পাষন্ড পিতা তার কন্যাকে প্রতিনিয়ত শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে এবং ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশ এর হুমকি দেয়। একপর্যায়ে মেয়েটির পেটে একটি বাচ্চা চলে অাসায় স্থানীয় মেম্বার জনাব অারিফ উল্লাহ্ এর সহযোগিতায় কলিম উল্লাহ্ সাফামারওয়ার ফুফাতো ভাই ইসমাইল এর সাথে গত জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে বিয়ে দেয়। বিবাহের ৪ দিন পর সাফাওয়া একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। এই পুরো বিষয়টি জানতে পেরে সাফামারওয়ার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তার উপর শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার করতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে ২৮ দিনের মাথায় তার কন্যা সন্তানটি মারা যায়। অত্যাচার এর মাত্রা বেড়ে গেলে ১ এপ্রিল ২০১৮ তে সাফামারওয়া তার শ্বশুর বাড়ী হতে পালিয়ে নানার বাড়ীতে মা খোরশিদা বেগম এর কাছে চলে অাসে।
ইতোমধ্যে ধর্ষিতা মেয়ে এবং তার পরিবার এর সকল সদস্যের সাথে দেখা করেছি এবং দ্রুত ন্যায় বিচার নিশ্চিতকল্পে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অামি সদর মডেল থানা, কক্সবাজার এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা র সাথে কথা বলেছি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি জনাব কলিম উল্লাহ্ কে দ্রুত গ্রেপ্তার এর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি।এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান ধর্ষনকারীকে আমরা আটক করে থানা প্রেরন করেছিনাম সাফা মারওয়া বাদী হয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান নোমান হোসেন প্রিন্স। এদিকে কক্সবাজার সদর থানার ফরিদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেন এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান।
বিঃদ্রঃ সম্মান রক্ষার্থে ও বিশেষ কারনে ধর্ষিতা মেয়ে ও তার মা এর মুখ ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
(কক্সবাজার সদর ইউএনও নোমান হোসেন প্রিন্স এর ফেইজবুক প্রোপ্রাইল থেকে)
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.