কক্সবাজারে নিটল মটরস করোনাকালিন সময়ে বাস মালিকদের কাছ থেকে কিস্তি আদায়
বাস মালিকপক্ষের অবস্থান ধর্মঘট
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনাকালিন সময়ে কিস্তি আদায় করার কারনে বাস মিনিবাস মালিক সমিতির লোকজন কক্সবাজার কলাতলী নিটল মটরস সেলস সেন্টারের সামনে সমস্ত বাস দাঁড় করিয়ে রেখেছেন
সোমবার(২১ জুন) সকাল থেকে অবস্থান করছে তারা।
মালিক পক্ষ বলছে, এই করোনাকালিন সময়ে নিটল মটরস কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিক আচারণ সহ্য করার নয়। দেবাশীষ মহাসড়ক থেকে আমাদের গাড়ি ডাকাতি করে কোথায় নিয়ে গেছে এখনো আমরা জানিনা।
আবুল কালাম আবু জানান, এখন সরকারিভাবে কিস্তি দেওয়া বন্ধ রয়েছে। সরকার যখন কিস্তি আদায় করার প্রজ্ঞাপন দিবে তবে আমরা কিস্তি পরিশোধ করবো। এখন কক্সবাজার ব্রাঞ্জ ম্যানেজার দেবাশীষ গুপ্তা আমাদের গাড়ি মহাসড়ক থেকে ডাকাতি করে নিয়ে এসেছে। এখনো গাড়িগুলোর খবর নেই।
এদিকে এর পরেও এই করোনাকালিন সময়ে কিস্তি আদায় করার চেষ্টা করছে।
কক্সবাজার বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হুদা চৌধুরী জানান, এই করোনাকালিন কিভাবে তারা কিস্তি আদায় করে তা আমার বোধগম্য নয়।
আমরা সড়কে কয়েকদিন আগে সীমিত আকারে চলাচল শুরু করেছি। তারপরেও আমরা তাদের কিস্তি আদায় করার চেষ্টা করে আসছি।
কিন্তু কক্সবাজার ব্রাঞ্জ ইনচার্জ দেবাশীষ গুপ্তা টেকনাফ মহাসড়ক থেকে গাড়ি নিয়ে আসা তা অমানবিক।
কক্সবাজার জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির জহিরুল ইসলাম সিকদার জানান, নিটল মটরস থেকে আমরা শুধুমাত্র গাড়ির চেচেস নিয়েছি, বাকি গাড়ি বড়ি তৈরি করতে আমাদের বেশ টাকা খরচ হয়। এই করোনাকালিন সময়ে দেবাশীষ যেভাবে আমাদের উপর কিস্তি দেওয়া জন্য চাপ দিচ্ছে তা মানবিক নয়।
খুইল্যা মিয়া জানান, আমরা বাস সড়কে রেখেছি, আমরা তাদের কিস্তি আদায় করবো, কিন্তু এই করোনাকালিন সময়ে তারা কিভাবে আমাদের কিস্তি আদায়ের জন্য চাপ দিচ্ছে?
বাস মালিক জসিম উদ্দিন জানান, আমার বাস কক্সবাজার টেকনাফ মহাসড়কে চলাচল করে কিন্তু গতকাল দেবাশীষ আমাকে কিছু না জানিয়ে আমার গাড়ি গায়েব করে ফেলেছে। এখনো আমার গাড়ি কোথায় আমি জানিনা।
আরেক বাস মালিক মনিরর আহমদ জানান, আমি করোননাকালিন সময়েও কিস্তি পরিশোধ করেছি।
এই মাসের ৪তারিখ সর্বশেষ কিস্তি আদায় করি।
কিন্তু দেবাশীষ আমার গাড়িটি সড়ক থেকে গায়েব করে ফেলেছে।
আমার ড্রাইভার গাড়ির চাবি দিতে না চাইলে তাকে মেরে আহত করে চাবি নিয়ে গাড়ি নিয়ে আসে।
গাড়ির ড্রাইভার জসিম উদ্দিন জানান, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যাওয়ার মাঝ পথে আমার গাড়ি গতিরোধ করে ডিবি পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে গাড়ির চাবি নিতে চাইলে আমি চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে মেরে চাবি নিয়ে গাড়ি নিয়ে যায়।
এদিকে নিটল টাটা মটরস এর কক্সবাজার ব্রাঞ্জ ম্যানেজার দেবাশীষ গুপ্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি তিনটি গাড়ি নিয়ে এসেছি। যাদের গাড়ি এনেছি তারা কিস্তি পরিশোধ করেনি।
তাই অপিসের নিয়ম অনুযায়ী গাড়ি অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.