কক্সবাজারে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক প্রশিক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ সেপ্টম্বর সকাল ১০টা হতে সারাদিন ব্যাপী বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইপসা’র আয়োজনে যুব সমাজের অংশগ্রহণে কক্সবাজারের হর্টিকালচার সেন্টারে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রশিক্ষণ সভায় প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে অালোচনা করেন ইপসা ফেয়ারার লেবার মাইগ্রেশন প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ অাব্দুস সাবুর।
মোহাম্মদ অাব্দুস সাবুর বলেন নিরাপদ অভিবাসনের ধাপগুলো সঠিক ভাবে না জানার কারণে এদেশের মানুষ বিভিন্ন রকম হয়রানির স্বীকার হন এবং এক পর্যায়ে তারা সর্বস্ব হারান। তিনি সমাজে যুব সমাজের দায়িত্ব -কর্তব্য, সামাজিক অগ্রগতিতে নারী – পুরুষের সমান অধিকার, প্রবাসী ও বৈদেশিক সংক্রান্ত অাইন -২০১৩, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ইতিবাচক ও নেতিবাচক ব্যবহার এবং তার ফলাফল, তথ্য প্রযুক্তি অাইনের পর্যালোচনা, সর্বপরি নিরাপদ অভিবাসনে যুব সমাজের অংশগ্রহণের নৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে অালোচনা করেন। উক্ত প্রশিক্ষণের অপর প্রশিক্ষক প্রকল্পের রিসার্স এন্ড লার্নিং অফিসার সৈয়দ অাশ্রাফ উল্লাহ – নিরাপদ অভিবাসনের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব, যুব স্বেচ্ছাসেবক দলের সামাজিক প্রভাব, নিরাপদ অভিবাসনের অভাবে মানব পাচার, অনিরাপদ অভিবাসনে ব্যক্তির অার্থিক ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এবং তা প্রতিরোধে যুব সমাজের করণীয় বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন। সর্বশেষ অালোচক হিসেবে প্রকল্পের এসোসিয়েট রিসার্স এন্ড লার্নিং অফিসার মুহাম্মদ অাবু তাহের প্রকল্পের লক্ষ্য – উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম নিয়ে অালোচনা করেন। প্রশিক্ষণের এক পর্যায়ে যুব স্বেচ্ছাসেবকদের অভিজ্ঞতা বর্ণনার সময় মুহাম্মদ হারুন বলেন পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশের হয়রানি নিরাপদ অভিবাসন কার্যক্রমে একটি বিরাট বাধা। প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবক দলের অারেক সদস্য অায়েশা অাকতার বলেন নিরাপদ অভিবাসন সহজ করার জন্য সরকারী সেবাসমুহ অারও সহজ লভ্য করতে হবে। প্রকল্পের অন্যতম কর্মকর্তা তরুণ বড়ুয়া উপযুক্ত দক্ষতার অভাবে প্রবাসে অামাদের দেশের মানুষ যেভাবে বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে তার একটি চিত্র পদর্শন করেন। প্রশিক্ষণ শেষে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক “বাহাদুর যাবে বহুদুর” একটি সংক্ষিপ্ত ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়। প্রকল্পটির কারিগরী ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছে প্রকাশ ও ব্রিটিশ কাউন্সিল।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.