কক্সবাজারে আরেক পর্যটক আকর্ষনের খুটাখালী জাতীয় উদ্যানের ট্রি-এডভেন্জার।
মোঃ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজার।
সবুজে ঘেরা অরন্য, শত বছরের ইতিহাসের সাক্ষী গর্জন, সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিয়ে গড়ে উঠেছে কক্সবাজারের চকরিয়ার থানার খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়া এলাকায় কয়েক কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে জাতীয় উদ্যানে ট্রি – এড়ভেন্জার,কক্সবাজার আসার পথে খুটাখালী বাজারের আগে মেধাকচ্ছপিয়া, দৃষ্টি নন্দন, শত বছরের মাদার ট্রি, কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে, লক্ষ করলে দেখবেন বিভিন্ন গাছে বন বিভাগের পক্ষ হতে গাছের সব প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত ছোট আকারে সাইন বোর্ড়, যদি নিজ গাড়ি নিয়ে চট্রগ্রাম হতে কক্সবাজার আসা হয় অনেকই এই সব শত বছরের গাছ দেখে খানিকের জন্য আনমনে হয়ে যায়,এই সবুজ অরন্যকে ভিন্ন আঙ্গীকে তুলে ধরছেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ।
এর অধীনে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকদের জন্য আরেক নতুন দিগন্ত, এ ট্রি এডভেন্জার,
এলাকা ব্যাপারে ফুলছড়ি রেন্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ট্রি এড়ভেন্জার এটি পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে আরেকধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে, এই জাতীয় উদ্যানে পর্যটকরা চাইলে উদ্ভোধনের পরে এড়ভেন্জারের জন্য রাত্রি যাপন করতে পারবেন, এজন্য সরকারী ভাবে তাবুক আছে যা সরকারী নিয়ম মেনে বন বিভাগ থেকে নেওয়া যাবে, জাতীয় উদ্যানের সুন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন পয়েন্টটে গোলআকার ছোট ছোট ঘর তৈরী আছে, আমাদের আরেকটি চমকপ্রদ হচ্ছে ট্রি এড়ভেন্জার এর জন্য নিরাপদভাবে এক গাছ থেকে অন্য গাছে যাওয়ার জন্য একটি ভিন্ন ব্যবস্থা যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। জাতীয় উদ্যান এর ট্রি এডভেন্জার এর এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এক গাছ থেকে অন্য গাছে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সবুজে সমারোহ এই সুন্দর পরিবেশে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। অপরদিকেজাতীয় উদ্যান ট্রি এডভেন্জার নিয়ে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের কর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, চট্রগ্রাম নগরী হতে আসতে পথে শত বছরে ইতিহাস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই মাদার ট্রি,
আমরা বন বিভাগ থেকে চেষ্টা করছি প্রজম্মকে ইতিহাস জানাতে তারা যেন এই সব গাছ দেখে গাছ লাগাতে উৎসাহ পায়,
এবং একটি সুন্দর ও দৃষ্টি নন্দন ট্রি এডভেন্জার এলাকা হিসাবে পরিচিতি করাতে যেন পর্যটকরা ভিন্নতর আনন্দ পেতে পারে, পর্যটকদের জন্য কখন খুলে দেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা শীঘ্রই উদ্ভোধন করার চেষ্টা করছি, এবং পর্যটকরা চাইলে বন বিভাগ থেকে সরকারী নিয়ম মেনে তাবুক নিয়ে দিন যাপন করতে পারবেন, যা পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জন্য আরেক নতুন দিগন্ত। আশা করছি এই ট্রি এডভেন্জার এলাকাটি পর্যটকরা উপভোগ করবেন, এদিকে মেধাকচ্ছপিয়া এলাকায় ঘুরে দেখা যায় মাদার ট্রি সহ বিভিন্নজাতের গাছ আছে যা গাছ প্রেমিকদের আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। আরাকান রোড়ের দুইপাশ দিয়ে প্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২৯৬ হেক্টর বনবিভাগের জায়গা জুড়ে এই জাতীয় উদ্যান, এই মাদার ট্রি রক্ষায় নিয়োজিত আছে বন প্রহরী তারা সব সার্বক্ষণিক এই কালের ইতিহাস মাদার ট্রি সহ বিভিন্নজাতের গাছ রক্ষানাবেক্ষনের জন্য রাতদিন ফুলছড়ি রেন্জ এর রেন্জ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক কাজ করে যাচ্ছেন, এলাকাবাসী জানান, যখন থেকে আব্দুর রাজ্জাক খুটাখালীর ও বর্তমান ফুলছড়ির দায়িত্বে আছেন বনখেকুরা বনে ডুকতে সাহস করে না, এলাকাবাসি মনে করেন যদি আরো কিছু জনবল থাকতো তা হলে আরো ভাল কাজ করতে পারতেন, জনবল প্রসংগে রেন্জ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ফুলছড়ি রেন্জ এর অধীনে ৫টি বিট অফিস আছে আর সব মিলিয়ে ২০ জন কর্মকর্তা কাজ করছে যা অত্যান্ত দুঃখের বিষয়, যদি জনবল থাকে তবে আরো ভাল ভাবে কাজ করা যাবে,।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.