নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতী করোনাভাইরাস। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কর্মহীন হয়ে পড়েছে সর্বসাধারণ। বিপাকে শ্রমজীবীরা। করোনাভাইরাস রোধে জেলায় জেলায় লকডাউন করা হয়েছে। বাইরের জেলার সাথে কক্সবাজারের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ। একপ্রকার ঘরবন্দি জীবনযাপন চলছে। কর্ম না থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের।
এরই মধ্যে বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতঙ্কে ধানকাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ধানকাটা ও মাড়াই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। তবে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২২ এপ্রিল) বুধবার
কক্সবাজার হাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সাধরণ সম্পাদক মাসুদ খালেক এর নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মীরা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন এর নির্দেশে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডীর খোনকারখীল গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিমের ৮০ শতক জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। ছাত্রলীগের এমন উদ্যোগকে প্রশংসা করছেন সচেতনমহল।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে ধান কেটে দেয়ায় কৃষক দেওয়ান আব্দু রহিম আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। এলাকায় যে পরিমাণ শ্রমিক আছে মজুরি বেশি। আকাশের অবস্থা মাঝে মধ্যে খারাপ হচ্ছে। ঝড় হলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। ছাত্রলীগের ছেলেরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছে তা ভোলার নয়। কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন জানান, করোনাভাইরাসের প্রভাবে অন্য জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক না আসায় বিপাকে কৃষকরা। শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক অসহায় ও বর্গাচাষী কৃষক ধান কাটতে পারছেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকের ধান কাটার কাজ শুরু করেছি। যদি কারো প্রয়োজনে ডাক পড়ে ছাত্রলীগ গিয়ে ধান কেটে দিয়ে আসবে।
ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ খালেক জানান, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন এর নির্দেশে আমরা এই করোনা মহামারিতে অসহায় ও বর্গাচাষী কৃষকদের পক্ষে শ্রমিকদের মজুরি দেয়া কষ্টসাধ্য। আমাদের পক্ষ থেকে ওইসব কৃষককে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আগামীতে অসহায় ও বর্গাচাষী কৃষকদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ধান কাটতে যারা সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন,
ছাত্রলীগ নেতা সাহেদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, খোকন মাহমুদ, রাকিবুল ইসলাম,
শাহাব উদ্দিন, প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.