শাহীন মাহমুদ রাসেল
কক্সবাজারের কয়েকটি এলাকায় গত দু’ একদিনের দিনের বৃষ্টিতে শতাধিক ভাটায় বিপুল পরিমাণ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। ইটভাটার মালিকদের সমিতি দাবি করেছে, শতাধিক ভাটামালিকের কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার ইটভাটার মালিকেরা জানান, ফঁতেখারকুল, পিএমখালী, চাকমারকুল, ঝিলংজা, কাউয়ারখোপ, ঈদঁগাও ও চকরিয়া এলাকায় শতাধিক ভাটা আছে। এ ছাড়া রামু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫৭টির মতো ভাটা আছে। এসব ভাটার মালিকেরা এখন নতুন কাঁচা ইট তৈরি করে রোদে শুকাতে দিয়েছেন। চুলাতে আগুন দিয়ে ইট পোড়ানোর কাজও শুরু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এবং রোদ না থাকায় ওই সব ভাটার প্রস্তুতকৃত বিপুল পরিমাণ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। হঠাৎ বৃষ্টি হবে—এমন পূর্বাভাস না পেয়ে ভাটামালিকেরাও বৃষ্টি মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিলেন না। ইটভাটায় ছিল না পর্যাপ্ত পরিমাণ পলিথিন। ফলে ওই সব ভাটার প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট ভিজে নষ্ট হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি গুনতে হচ্ছে মালিকদের।
এদিকে কয়েক দিন ধরেই ইটভাটাগুলোর শত শত শ্রমিক বেকার সময় পার করছেন। তাঁদের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।
রামু এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, কিছুদিন হলো নতুন ইটের মৌসুম শুরু হয়েছে। প্রতিটি ভাটায় কাঁচা ইট তৈরি করে স্তূপ করে রেখে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টিতে সব কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে এবার ইটভাটায় ব্যাপক লোকসান গুনতে হবে মালিকদের।
ভাটার ব্যবসায়ী হামিদুল হক মুন্না জানান, তৈরি করা কাঁচা ইটের বেশির ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। যেগুলো আছে, সেগুলোতে বৃষ্টির ফোঁটার চিহ্ন বসে গেছে। ত্রুটি থাকা (রেইন স্পট) এসব ইট কোনো ক্রেতা কিনতে চান না।
কক্সবাজার জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘এমন করে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হবে, কেউই বুঝে উঠতে পারিনি। টানা বৃষ্টির কারণে লাখ লাখ কাঁচা ইট ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ইটভাটায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পলিথিন ছিল না। তবে কিছু কাঁচা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হলেও নিচে পানি জমে তা নষ্ট হয়ে গেছে। কয়েকটি এলাকায় প্রায় শতাধিক ভাটার কাঁচা ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে আনুমানিক ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.