কক্সবাজারের প্রতিটি রাস্তায় বড় বড় গর্ত যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা, প্রশাসনের চোখে কালো কাপড়।
নেজাম উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
ম্যানহোল শব্দটি শুনলেই মনে হয় মানুষের জন্যই তৈরী করা হয়েছে এটি, কিন্তুু এই ম্যানহোলে পড়লে কেমন দশা হয়, কেউ না পড়লেও অনুভব করা যায়, এর এমনই ম্যানহোল বা গর্তের অভাব নেই পর্যটন নগরী কক্সবাজারে, জনসাধারন যে পথেই চলুক না কেন এই গর্তের সম্মুখিন হতেই হবে কক্সবাজারের প্রান কেন্দ্র বাজারঘাটা রাস্তায়, ছোট বড় গর্তের কারনে আজ অসহায় রাস্তায় চলাচল কারিরা। যারা গাড়ি ব্যবহার করে তাদের জন্য যেন এটি শনির্দশা, প্রতিনিয়ত কোন না কোন ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে, এযেন এক মরন ফাঁদ,
কক্সবাজার বার্মিজ স্কুলের সামনে গেলে দেখা যায় রাস্তায় বেশ বড় সড় কিছু গর্ত এই ব্যাপারে অত্র এলাকার রেজা নামক এক ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- এমনই যাচ্ছে দিন রাত বেশ কয়েক টি দুর্ঘটনাও ঘটেছে এটিতে কিন্তুু পৌরসভা এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না, এই কক্সবাজারের টার্মিনাল হতে প্রধান সড়ক বাজারঘাটা পর্যন্ত বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে, অন্যদিকে লাবনী পয়েন্ট এর হোটেল মিড়িয়ার সামনের রাস্তাটির বেহাল অবস্হা প্রশাসনের নজরে নেই বললেই চলে। এ নিয়ে এক প্রসংগে বর্তমান টুরিষ্ট পুলিশ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান এই সৈকত ঘেসা সড়ক গুলো এমন অবস্থা যা বলার অপেক্ষা রাখেনা কিন্তুু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না, তিনি আরো বলেন, তাদের কে আমি নিজে জানিয়েছি আপনারা করতে না পারলে আমাদের জানান আমরা একটা ব্যবস্থা নিব, এই দিকে হোটেল মোটেল মালিক জোন এর সাঃ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল কাসেম সিকদার জানান, কক্সবাজারেরর সড়ক ও ট্রাফিক অবস্থা নাজুক এ থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে, এজন্য পৌরসভা সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, তিনি আরো বলেন, বিশ্ববাসির নানার বাড়ি নামে পরিচিত এই কক্সবাজার, যদি আমরা সড়ক ব্যাবস্থা ভাল করতে না পারি তা হলে পর্যটকদের আকর্ষীত করতে পারবো না, এতে আমাদের পর্যটন নগরী হুমকীর মুখে পড়বে এবং তিনি দাবি জানান হোটেল মোটেল জোনের রাস্তা গুলো অতিসত্তর মেরামতের জন্য, এইদিকে পৌর কতৃপক্ষের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে কাউকে পাওয়া যায়নি, অন্যদিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল এর নিকট থাকা একজন জানান, কক্সবাজারেরর সামনের ও পিছনের রাস্তার মহা লঙ্কা কান্ড, বড় বড় গর্ত ছাড়া আর কিছু নাই। এযেন রাস্তা নয় ফসলি মাঠ, এইভাবে কাটছে কক্সবাজারের সর্বস্তরের মানুষের দিন, এ থেকে পরিত্রাণ চান সবাই।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.