ইমাম খাইর
কক্সবাজার শহরের গোল দিঘীরপাড়ের সড়কে বসেছে অবৈধ বাজার। ভাসমান হকারদের দখলে চলারপথ। যে কারণে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পটিও শ্রীহীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে দোকানগুলো বসিয়ে দিয়েছে।
চলার পথে ভাসমান দোকানের কারণে লেগে থাকে সীমাহীন যানজট। দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গোলদীঘি এলাকাটি বখাটে, চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে বসানো হয় মাছ, তরকারির বাজার। রাতে চলে ছিনতাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দেয়ার পরও এ্যাকশান নাই। পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কাজ হয়নি। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়োজিত কর্মচারীরাও যেন অন্ধ।
সৌন্দর্যে ঘেরা গোল দীঘির পাশ ঘেঁষে এসব হকারদের প্রতিদিন হকার ব্যবসা পরিচালিত হলেও সবাই নিরব। এখানে নিয়োজিতরা বাধা দেয় না।
শহরের অন্যতম জনবহুল এলাকা হিসেবে পরিচিত গোলদীঘির পাড়। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত এই এলাকায়। এই এলাকার পাশাপাশি পশ্চিম দিকে অবস্থিত জেলার অন্যতম প্রধান দুটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়। তারমধ্যে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একটু পশ্চিমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল।আদালতে যেতেও এই রাস্তা ব্যবহৃত হয়।
জেলা শহরের প্রায় মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে এই গোল দীঘি এলাকাটি। গোলদীঘি এলাকাজুড়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের বসবাস। হিন্দু, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় মন্দির এবং প্যাগোডা গোলদীঘি পাড়ে।
এবিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃকর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমেদ বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ গোলদীঘি এলাকাটাটি ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত। তাই এসকল এলাকা যানজটমুক্ত রাখা দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব। এসব এলাকায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের প্রভাবশালী নেতারা রয়েছে। এসকল নেতা এবং কাউন্সিলরগণ ইচ্ছে করলে এসব যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
তবে, গোল দীঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ মাসোহারায় জড়িত আছে এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানকে বেশ কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায় নি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.