শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেল প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের দরকার কী? নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন তো আছে। নির্বাচন যখন হবে, তখন নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে। এই নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি নিরপেক্ষ। আর পরিবর্তনের সময় কই, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে এই নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। এখানে বিএনপির লোকও তো আছে।
সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ সফল হয়নি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ জোট জনগণের মধ্যে সাড়া ফেলতে পারেনি। তার গাজীপুরের জনসভায় এরচেয়ে অনেক বেশি জনসমাগম হয়েছিল। জনগণের সাড়া না থাকলে কোনো আন্দোলন সফল হয় না। আর যারা আন্দোলনে সফল হয় না তারা নির্বাচনেও সফল হতে পারে না।
ইসিতে মতভেদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা কি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে পাঁচজন সর্বসম্মত না দিলে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না? এখানে পাঁচজনের মেজরিটি যা বলে, তাই সিদ্ধান্ত। এটা বিভক্তি নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংস্কারবাদীরা এত দিন ছিল না, বিএনপি কতটা দেউলিয়া যে এখন আবার তাদের নেয়া হয়েছে। দলের লোকজনকে সংস্কারপন্থি বলে কোনঠাসা করে রেখেছিল বিএনপি। এখন এই লোকরা এসে আন্দোলনে শক্তি যোগাবে এটা বিশ্বাস করা কঠিন। তাছাড়া ফখরুল সাহেব নিজেও সংস্কারবাদী ছিলেন।
মেট্রোরেল নিয়ে তিনি বলেন, মেট্রোরেল এখন দৃশ্যমান। এটা প্রধানমন্ত্রীর মেগা প্রকল্প। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম ফেজের কাজ শেষ হবে। দ্বিতীয় ফেজ আগারগাঁও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.