মোঃ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজারঃ
একহাতে ক্যানোলা অন্য হাতে ছবি আকার রং পেন্সিল নিয়ে নিচে ফ্লোরে বসে ছবি আকছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তিকৃত জটিল রোগে আক্রান্ত শিশুরা । এই অভ‚তপূর্ব আয়োজন করেছে ৭ মার্চ (রবিবার) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। এমন দৃশ্য দেখে রীতিমত চমকে ছিলেন সেবা নিতে আসা অন্যান্য রোগী ও স্বজনরা । এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন শিশু ওয়ার্ডে সাড়া ফেলেছে। বাহারি বেলুন দিয়ে বেশ সজ্জিত সম্মুখ গেইট হতে পুরো ওয়ার্ড। চিকিৎসা কার্যক্রম চলার পাশাপাশি জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তিরত রোগীরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য আয়োজনের সাথে ছবি আঁকা ও খেলনা সামগ্রী বিতরণ বেশ সাড়া ফেলেছে অভিভাবক ও শিশুদের মাঝে। হাতে ক্যানুলা,স্বল্প সময়ের জন্য স্যালাইন খুলে, অক্সিজেন মাস্ক সরিয়ে রেখে অনন্য এই আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হয়ে ওয়ার্ডের অভ্যন্তরেই ছবি আঁকে একঝাক শিশুরোগী। রোগের তাড়না ভুলে রং পেন্সিলে ক্যানভাসে তুলে ধরে তাদের ভাললাগা, ভালবাসা।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান জানান,সুস্থ্যতার জন্য মন প্রফুল্ল রাখা আবশ্যক। ওয়ার্ডে বরাদ্ধ চল্লিশ শয্যার বিপরীতে গতকাল ভর্তি ছিল ৯৪ জন রোগী। ওষধের পাশাপাশি শিশুদের দ্রæত সুস্থ্য করে তোলা, মানসিক বিকাশ এবং বিশেষ করে শিশু দিবসে হাসপাতালে ভর্তি শিশুরা যেন বাদ না পড়ে সেই লক্ষ্যেই এই ভিন্নধর্মী আয়োজন। শিশুদের হাসিমুখ আমাদেরকে প্রেরণা যোগায় এবং অভিভাবকদের সন্তুষ্টি সরকারী প্রতিষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতা ও আস্থা যোগায়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডাক্তার মংটিং ঞো জানান, কক্সবাজার সদর হাসপাতাল দেশের সেরা সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান হিসাবে আমরা গড়ে তুলবো। যারা হাসপাতালে আসে রোগি হিসাবে তাদের আমরা পরিবারের একজন সদস্য হিসাবে সেবা প্রদান কওে যাচ্ছি। আজকের আয়োজন ছিল দেখার মতো । একজন শিশু হাতে ক্যানোলা থাকলেও বিছানা থেকে নেমে ছবি আকার জন্য চলে এসেছে । সেই সাথে তাদেও খেলনার জন্য খেলনা সামগ্রীও প্রদান
করা হয়েছে। আশা করছি এই ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে।
।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডাক্তার মংটিং ঞো হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদুুল হক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান, ডাক্তার জি আর এম জিহাদুর ইসলাম,কনসালটেন্ট মেডিসিন বিভাগ ডাক্তার ইয়াসির আরাফাত, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আশীষ দে, ডাক্তার শীদুল আলম, আবাসিক ফিজিসিয়ান ডাক্তার মোঃ সাইফুল্লাহ প্রমুখ ।
Its like you read my mind You appear to know so much about this like you wrote the book in it or something I think that you can do with a few pics to drive the message home a little bit but other than that this is fantastic blog A great read Ill certainly be back